তাঁর পরিবেশ-বান্ধব পাখির ঘরগুলি মানুষের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছে এবং তাঁকে প্রচুর প্রশংসা ও স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- অখিলেশকে জেতান, উত্তরপ্রদেশে ইতিহাস তৈরি করুন, সপা-র প্রচার থেকে বললেন মমতা
লিমকা বুক অফ রেকর্ডস পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসামান্য প্রচেষ্টার জন্য জাতীয় পুরস্কার, ডক্টর কেকে-এর এইচসিএফআই পুরস্কার পেয়েছেন। এমনকী ক্লাস ফোর ICSE বইতে তাঁর কাজের জন্য উত্সর্গীকৃত একটি অধ্যায়ও রয়েছে৷
advertisement
খত্রি একটা সময় লক্ষ্য করেছিলেন, পুরানো দিল্লিতে তাঁর বাড়িতে ক্রমাগত পাখির কিচিরমিচির শব্দ কমে যাচ্ছে। তিনি বলছিলেন, “পুরানি দিল্লিতে আমাদের প্রবীণরা সতর্ক করতেন, পাখা চালিয়ে থাকা যাবে না। কারণ পাখিরা ঘরের উঁচু কোণে বা আলো যেখান দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে এমন ঘুলঘুলিতে বাসা বেঁধে থাকে। পাখা চালালে ওরা আহত হতে পারে। তাই, আমি ওদের যত্ন নিয়েই বড় হয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, "এখন আমি অশোক বিহারে থাকি। সেখানে পাখিরা মানুষের বাড়িতে ঢুকতে পারে না। বাসা তৈরি করতে পারে না। তাদের দেয়ালের ফাঁক দরকার। কিন্তু এখন দেওয়ালে গর্ত দেখে মানুষ আতঙ্কিত হয়। ঝোপ-ঝাড় উধাও হয়ে গেছে। তা হলে পাখিরা বাসা বাঁধবে কোথায়? ওদের তো থাকার জায়গাই নেই আর কোথাও।"
খাত্রী সিদ্ধান্ত নেন, তিনি নিজে হাতে পাখিদের জন্য বাসা তৈরি করে দেবেন।। তিনি প্রথমে নারকেলের খোসা দিয়ে পাখির বাসা বানানো শুরু করলেও সেখানে কোনো পাখি বাসা বাঁধতে আসেনি। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যান। এর পর বাঁশের লাঠি, পাটের সুতো এবং ভুসি দিয়ে পাখিদের থাকার জায়গা বানানো শুরু করেন।
আরও পড়ুন- অনন্য কীর্তি ভারতীয় রেলের! বিশ্বের উচ্চতম রেলসেতু, বিস্তারিত জানলে চমকে যেতে হয়
তিনি এখন ইকো রুটস ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা চালান। এই সংস্থা সারা দেশে পাখিদের জন্য কাজ করে। খাত্রী ইতিমধ্যে পাখিদের জন্য আড়াই লাখ বাসা তৈরি করে দিয়েছেন।