আরও পড়ুন- "এখন ভারতের সব ঘরে শৌচালয়, সব গ্রামে বিদ্যুৎ": মিউনিখে দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদির
টাটা পাওয়ার নর্থ ওড়িশা ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের (টিপিএনওডিএল) আধিকারিকরা এবং কর্মীরা মাটি খনন করার মেশিন, বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং ট্রান্সফরমার নিয়ে উপরবেদার ওই অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পৌঁছে যান। TPNODL-এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, “আমরা কোম্পানির ময়ূরভঞ্জ বিভাগে বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পূর্ণ করতে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরো উপরবেদা গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আদেশ জারি করেছি।”
advertisement
উপরবেদা গ্রামে দু’টি গ্রাম রয়েছে, মোট জনসংখ্যা ৩,৫০০। বাদসাহি গ্রামে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ যোগাযোগ থাকলেও ডংগুরসাহিতে ১৪ টি পরিবার এখনও বিদ্যুৎ পায়নি। “আমাদের গ্রামবাসীদের অন্ধকারে রাখার কোনও উদ্দেশ্য নেই, তবে নির্দিষ্ট সরকারি ছাড়পত্রের অভাবে এমনটা হয়েছে,” বলেন ওই কর্মকর্তা বলেছিলেন।” রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর সাংবাদিকরা যখন জনগণের সঙ্গে কথা বলতে দ্রৌপদী মুর্মুর জন্মস্থানে পৌঁছন, দেখা যায় বিদ্যুতের কোনও যোগাযোগই নেই প্রাক্তন রাজ্যপালের গ্রামে।
দ্রৌপদী মুর্মুর ভাগ্নে বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডু তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের সঙ্গে ডুঙ্গুরসাহি গ্রামে থাকেন। “আমরা আমাদের ডুঙ্গুরসাহি গ্রামে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য অনেক মানুষকেই অনুরোধ করেছিলাম। তবে, কেউ কর্ণপাত করেননি,” সাংবাদিকদের বলেন বিরাঞ্চির স্ত্রী। তিনি আরও জানান, দ্রৌপদী মুর্মু উৎসবের সময় গ্রামে বেড়াতে গেলেও তাঁরা বিষয়টি তাঁর নজরে আনেননি। ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু কিছুই হয়নি, জানান উপরবেদা গ্রামের আরেক বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন বাস্কে। তিনি জানান, মানুষজন ঘরে আলো জ্বালাতে কেরোসিনের বাতি ব্যবহার করে। যদিও গ্রামবাসীরা এখন উচ্ছ্বসিত যে, তাঁদেরই মধ্যে একজন রাষ্ট্রপতি ভবন জয় করার লড়াইয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন-ভারতে একদিনে ৪৫% সংক্রমণ বৃদ্ধি, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ১৭,০৭৩, মৃত্যু ২১ জনের!
প্রাক্তন সাংসদ সালখান মুর্মু, ভবেন্দ্র মাঝি এবং প্রাক্তন মন্ত্রী কার্তিক মাঝির জন্মস্থানও উপরেরবেদা গ্রাম। সরকারি এক সূত্রের খবর, ময়ূরভঞ্জ জেলায় ৫০০ টি গ্রামেই পাকা রাস্তা নেই এবং ১৩৫০ টি গ্রামে বিদ্যুৎ নেই।