গত বুধবার লাক্ষাদ্বীপের কাভারত্তির আদালত তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি অপরাধের জন্য আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে এবং একটানা দু' বছরের বেশি কারাদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত হলে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হবে। সেক্ষেত্রে অবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। নচেৎ সদস্যপদ বাতিল করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন ফয়জল।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারত জোড়ো যাত্রায় হাঁটার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত! প্রয়াত পঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় মহম্মদ ফয়জল-সহ তাঁর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে লাক্ষাদ্বীপের বেশ কয়েকবারের সাংসদ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিএম শঈদের জামাই পদনাথ সালিহকে ব্যাপক মারধর এমন কি খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। রাজনৈতিক কারণে তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেইসময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাহিলকে কেরালায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েকমাস তাঁর চিকিৎসা চলে। মামলা রুজু হয়। পুলিশ তদন্তে নামে।
আরও পড়ুন: শূন্য় পেয়েও বাংলা মডেলেই ভরসা, ত্রিপুরাতেও জোট বাঁধছে বাম-কংগ্রেস
এখন ১৪ বছর পরে সেই মামলায় মোট ৪ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা ধার্য করেছে আদালত। ওই মামলায় ফয়জল ছাড়াও, তাঁর ভাই সহ মোট ৪ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
২০১৪ সাল থেকে ফয়জল লাক্ষাদ্বীপের এনসিপি সাংসদ। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে এনসিপি। যদিও আইনি পথ অবলম্বন করবেন ফয়জল। উচ্চ আদালতে যাবেন তিনি। তবে, ১০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণার ফলে ফয়জলের রাজনৈতিক ভবিষ্যত অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।ফয়জল অবশ্য বলছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। আইনগতভাবে তিনি এর জবাব দেবেন।