জানা গিয়েছে, চার গ্রামবাসী পুলিশের চর হিসেবে কাজ করছিল, এমন খবর ছিল মাওবাদীদের কাছে। কারণ, মাঝে মাঝেই ওই গ্রামে এসে খাবার নিত মাওবাদীরা। সেই খবর পুলিশের কাছে ওই চারজন পৌঁছে দিচ্ছিল বলে সন্দেহ ছিল মাওবাদীদের। সেই চারজনকেই গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। খুন করে তাঁদের গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরই সঙ্গে চক্রবান্ধা থানা এলাকার মানুয়ার দুই বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। সেখানেও একই সন্দেহে হামলা চালায় তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: পুলিশের অভিযানে সাফল্য, মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিতে শীর্ষ নেতা সহ নিহত ২৬ মাওবাদী
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কের উপর সাংবাদিকের পোড়া দেহ! ভয়ংকর কাণ্ডে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়
কয়েক মাস আগে, এনকাউন্টারে গয়ায় চার মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল। মাওবাদীদের কাছে খবর ছিল, গ্রামের কয়েকজনই পুলিশকে তাদের গতিবিধির খবর পৌঁছে দিয়েছে। অন্যদিকে, গতকালই মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিতে পুলিশ ও মাওবাদীদের গুলির লড়াই হয়। পুলিশের দাবি, অন্তত ২৬ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে সেখানে। আহত হয়েছেন পুলিশেরও একাধিক কর্মী। পুলিশের দাবি, মারদিনতলার কোরচি এলাকায় শনিবার সকাল থেকে মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয় মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ 'সি-৬০ কমান্ডো'-এর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সকাল থেকেই অভিযান শুরু করে বাহিনী। দীর্ঘক্ষণ দু'পক্ষে গুলির লড়াই চলে।
জানা গিয়েছে, শনিবার পুলিশের গুলিতে মৃত মাওবাদীদের মধ্যে ছিল অন্যতম মিলিন্দ বাবুরাও তেলতুম্বে ওরফে দীপক তেলতুম্বদে। তেলতুম্বে সিপিআই (মাওবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বিদ্রোহীদের নবগঠিত এমএমসি জোন (মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিশগড়) অঞ্চলের প্রধান। গড়চিরোলির পুলিশ সুপার অঙ্কিত গোয়াল রবিবার বলেছেন, 'প্রাথমিক শনাক্তকরণ অনুসারে, শনিবারের এনকাউন্টারে নিহত ২৬ মাওবাদীদের মধ্যে তেলতুম্বে ছিল। অন্যান্য নিহত বিদ্রোহীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।'