নিজের শকড় ফিরে দেখার ঢঙে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘১০০ বছর আগে, একটি সংগঠনের জন্ম হল৷ তার নাম দেওয়া হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘ৷ সেই দীর্ঘ যাত্রার পথে ১০০ বছর পেরিয়ে তা মানুষ গড়ে পরবর্তীতে দেশ গড়ছে৷ সমাজকল্যাণমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷’’
তাঁর কথায়, ‘‘‘ব্যক্তি নির্মাণের মাধ্যমে দেশ নির্মাণ’, সমাজের কল্যাণে ‘মা ভারতীর’ সেবায়, স্বয়ম সেবকেরা নিজেদের জীবন মাতৃভূমিতে নিয়োজিত করেছে৷ এখন তা বিশ্বের সবচেয়ে বড় NGO৷ এই সংগঠনের ১০০ বছরের সমর্পণের ইতিহাস রয়েছে৷’’ চলতি বছরেই শতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সঙ্ঘ৷
advertisement
সঙ্ঘকে ‘শৃঙ্খলাপরায়ণ এবং কর্ম কেন্দ্রিক সংগঠন’ হিসাবে উল্লেখ করে ভূয়সী প্রশংসা করে মোদি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র সেবা করার উদ্দেশ্যে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজকরে চলেছে৷’’
দুর্যোগ ত্রাণ থেকে শুরু করে সামাজিক সম্প্রীতি নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত প্রয়োজনের সময় আরএসএস একেবারে মাঠে ময়দানে নেমে কাজ করেছে৷ এর ইতিহাসকে “প্রতিশ্রুতি ও ত্যাগের এক কাহিনি” বলে অভিহিত করেছেন মোদি।
মোদি ঘোষণা করেন, ‘‘জাতি আরএসএসের জন্য গর্বিত৷’’ উল্লেখ করেন যে এর নির্দেশক নীতিবাক্য – ব্যক্তি নির্মাণ, রাষ্ট্র নির্মাণ – কর্মের জন্য একটি কালজয়ী আহ্বান।
আরও পডুন: ‘বাংলার মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি!’ স্বাধীনতায় বাঙালিদের অবদান মনে করালেন মমতা
সংঘের শতবর্ষকে জীবন্ত অনুপ্রেরণা হিসেবে তুলে ধরে মোদী বলেন, সংগঠনের সুশৃঙ্খল এবং নিঃস্বার্থ কাজ ভারতের সামাজিক কাঠামোকে রূপ দিচ্ছে। “যখন ব্যক্তিরা সততা এবং নিষ্ঠার সাথে উঠে দাঁড়ায়, তখন জাতি নিজেই উঠে দাঁড়ায়,” তিনি বলেন।
ক্ষমতাসীন বিজেপির ধর্মতাত্ত্বিক অভিভাবক হিসেবে বিবেচিত আরএসএস৷ এই বিজয়াদশমীতে এই প্রতিষ্ঠানের ১০০ বছর পূর্ণ করবে, যা ২রা অক্টোবর।