সোমবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে ধন্যবাজ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দেশে করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ এ দিন রাজ্যসভায় তিনি বলেন, 'কংগ্রেস কোনওদিন পরিবারতন্ত্রের বাইরে গিয়ে কিছু ভাবেনি৷ গণতন্ত্রে সবথেকে বড় বিপদ হল পরিবারতন্ত্র৷ আর যখন একটি পরিবারই সবকিছুর ঊর্ধ্বে চলে যায়, তখন প্রতিভাবকে তার শিকার হতে হয়৷'
advertisement
আরও পড়ুন: ৩ মার্চ মোদির বারাণসীতে যাবেন, অখিলেশকে পাশে বসিয়ে ঘোষণা মমতার
এর পরেই কটাক্ষের সুরে প্রধানমন্ত্রী বলতে থাকেন, 'অনেকেই ভাবেন কংগ্রেস না থাকলে কী হত? কারণ তারা এখনও 'ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা, ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া' স্লোগানে আটকে আছে৷'' নরেন্দ্র ংমোদি দাবি করেন, দলের ভবিষ্যৎ বুঝতে পেরেই মহাত্মা গান্ধি কংগ্রেসের অবলুপ্তি চেয়েছিলেন৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এটাই মহাত্মা গান্ধির ইচ্ছে ছিল৷ কী হবে বুঝতে পেরেই কংগ্রেসকে ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন তিনি৷'
প্রধানমন্ত্রী বলতে থাকেন, 'গান্ধিজির ইচ্ছে মেনে যদি কংগ্রেসের সত্যিই অবলুপ্তি ঘটত, তাহলে স্বজনপোষণ থেকে গণতন্ত্র মুক্তি পেত৷ ভারত স্বদেশী পথে এগিয়ে যেত৷ জরুরি অবস্থার কলঙ্ক দেশের গায়ে লাগত না৷ জাতপাত, আঞ্চলিকতার রোগ এত গভীরে পৌঁছত না৷ শিখদের নরসংহার হত না৷ দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চলে যেত না৷ পণ্ডিতদের কাশ্মীর ছেড়ে চলে যেতে হত না৷ মহিলাদের তন্দুরের মধ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হত না৷ ন্যূনতম পরিষেবাগুলির জন্য আমজনতাকে এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হত না৷'
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ঘর ওয়াপসি, কংগ্রেসে ফিরলেন সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিস কুমার সাহা
প্রধানমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস শহুরে নকশালদের আদর্শের ফাঁদে বন্দি হয়ে আছে৷ সেই কারণেই তারা ধ্বংসাত্মক মনোভাবে বিশ্বাসী বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী৷
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে এ দিন রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস সাংসদরা৷