এদিন রোজগার মেলায় দেশের উন্নয়নের সঙ্গে কর্মসংস্থানের সম্পর্ক তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘দেশে বিনিয়োগ এবং শিল্প সম্পর্কে অভাবনীয় ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’’ ইপিএফও পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাঁর দাবি, ২০১৮-১৯ থেকে বেড়েছে প্রথাগত চাকরির সংখ্যা। এই সময়ের মধ্যে সারা দেশে ৪.৫ কোটি মানুষের চাকরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: কখনও কি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন? তাহলে ভুলেও করবেন না এই সমস্ত কাজ, হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা ৪ লক্ষ কিলোমিটার থেকে বেড়ে হয়েছে ৭.২৫ লক্ষ কিলোমিটার এবং বিমান বন্দরের সংখ্যা ৭৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০টি। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সরকারি প্রকল্পে ৪ কোটি পাকা বাড়ি নির্মাণের ফলে অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।
পূর্বতন সরকারের আমলের নিয়োগ পদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আগে স্টাফ সিলেকশন বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগে ১৫ থেকে ১৮ মাস সময় লাগত পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। সেখানে বর্তমানে সময় লাগে মাত্র ৬ থেকে ৮ মাস।” প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, এদিনের রোজগার মেলায় ৭১ হাজার জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি।
মঙ্গলবার পঞ্চম রোজগার মেলায় ভারতীয় ডাক বিভাগ, রেল দফতর ও সীমা সুরক্ষা বলের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয় এনজেপি ভিআইপি রেস্ট হাউজে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, পোস্টমাস্টার জেনারেল নর্থ বেঙ্গল সিকিম অখিলেশ কুমার পাণ্ডে সহ অন্যান্য অতিথিরা।
এদিন শিলিগুড়িতে ১৮৪ জন যুবক যুবতীদের হাতে কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরের এই নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। রোজগার মেলার মধ্য দিয়ে বেকার যুবক-যুবতীদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিতে পেরে আনন্দিত কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
রাজীব চক্রবর্তী