বিপর্যয় ঝড়ের কারণে রাজস্থানের নাগৌর জেলার মের্তা কৃষক বাজার দু’দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। তার ফলে দুই দিন ধরে বাজারে ফসল আসতে পারেনি, হয়নি কোনও কেনাবেচা।
আরও পড়ুন: করোনাকালেও নিয়েছিলেন জীবনের ঝুঁকি! আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঢুকে যা করতেন, অত্যন্ত সাহসের ব্যাপার
তারপর গত সোম ও মঙ্গলবার বাজার খুলতেই আগুন লেগেছে কৃষি পণ্যে। গত দুই দিন হু-হু করে বেড়েছে ফসলের দাম। এই মূল্য বৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে অন্যত্রও, আশঙ্কা করা হচ্ছে এমনই।
advertisement
আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে দু’দিন ধরে নাগৌর জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আর সেই বিপর্যয়ের পরেই জিরের দামেও ঝড় উঠেছে। দুই দিন ধরে বাজারে ফসল না আসায় এই বিপত্তি। স্থানীয় মান্ডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জিরের দাম এই মুহূর্তে কুইন্টাল প্রতি ৫২ হাজার থেকে ৫৫ হাজারের মধ্যে।
আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কের এই হোটেলে থাকছেন মোদি, এক রাতের ভাড়া কত জানেন? শুনলে ভিরমি খাবেন..
এই মূল্য বৃদ্ধিতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষি থেকে ব্যবসায়ী সকলেই। আসলে বাণিজ্যিক পণ্যের দাম আলোড়ন তৈরি করেছে সর্বত্র। কারণ, শুধু জিরেই নয়। একই ভাবে ইসবগুল ও মৌরির দামও বাড়ছে ক্রমাগত।
নাগৌর জেলা জিরে উৎপাদনের জন্য পরিচিত। কৃষিপণ্য বিপণনের কারণে মের্তা মান্ডি পুরো রাজস্থানে পরিচিত। এক সপ্তাহে দু’বার জিরে ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে চিন্তার মেঘ ছিলই। তারই পাশাপাশি নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে অন্য কিছু ফসলও। যেমন মৌরি, ইসবগুল। সারা ভারতে এগুলোর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু জোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ওমপ্রকাশ জানান, জিরের দাম বেড়েছে, সেই সঙ্গে ইসবগুল ও মৌরির দামও বেড়েছে। এই সময় ইসবগুল বিক্রি হচ্ছে ২২,৫০০ টাকা দামেও। সেখানে মৌরির দাম উঠছে ২৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত।
শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী কয়েক দিনে জিরের দাম আরও বাড়তে পারে।