বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও ৮০ জনের বেশি যাত্রীর দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি৷ তাঁদের মধ্যে অনেকেই এ রাজ্যের বাসিন্দা বলে মত রাজ্য প্রশাসনের৷ সেই কারণেই এমন নির্দেশ দিল নবান্ন৷
আরও পড়ুন: তড়িদাহত হয়েও মৃত্যু বহু যাত্রীর, জিআরপি FIR-এ সরাসরি আঙুল রেলের গাফিলতির দিকে
বৈঠকে জেলাশাসকদের বলা হয়, এই ট্রেন দুর্ঘটনায় শনাক্ত হওয়া হতাহত যাত্রীদের পরিবারগুলির হাতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সরকারি আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিয়ে শ্রম সচিবের কাছে রিপোর্ট দিতে হবে। এ ছাড়াও এই অভিশপ্ত দুটি ট্রেন থেকে যেসব পরিযায়ী শ্রমিক বেঁচে ফিরেছেন, তাঁদের নাম দ্রুত রাজ্য শ্রম দফতরের ‘কর্মসাথী পরিযায়ী শ্রমিক’ পোর্টালে অর্ন্তভুক্ত করতে বলা হয়েছে। যাতে তাঁরা রাজ্যে থেকেই কাজ পান।
advertisement
জেলাশাসকদের এই কাজে সমন্বয় সাধনের জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও স্বরাষ্টর সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও শিশু ও নারী কল্যাণ সচিবও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যসচিব এই অসহায় পরিবারগুলির ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে জেলাশাসকদের উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা সচিব তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করবেন বলেও জানানো হয়েছে। রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন প্রথম ব্যাচে ৫০ টি ছেলে ও ৫০ মেয়ের পড়াশোনার ব্যবস্থা করবে। বাকিদের স্থানীয় স্কুলে ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য শিক্ষা সংক্রান্ত সরকারি বৃত্তির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও এই সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মহিলাদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি জেলার হাসপাতালগুলিতে ভর্তি আহতেদর শারিরীক অবস্থা সর্ম্পকে নিয়মিত খোঁজ খবর নিতে এবং আর্থিক সহযোগিতা করতেও জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন। পাশাপাশি নিহত পরিবারের একজন সদস্যকে হোম গার্ডের চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে, এমন বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়