আরও পড়ুন- চতুর্থ দফার আগে অখিলেশের সঙ্গে 'সৌজন্য' সাক্ষাৎ বিজেপি সাংসদ পুত্র মায়াঙ্কের!
রাম রহিম সিং হার্ডকোর বন্দিদের মধ্যে পড়েন না, চলতি বছরই হরিয়ানা সরকার এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় এবং ডেরা সাচ্চা সউদার প্রধানকে (Dera Sacha Sauda sect chief) ৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে নিজের গুরুগ্রাম আশ্রমে কঠোর নিরাপত্তার (Ram Rahim Z-plus Security) মধ্যে রাখা হয়েছে রাম রহিম সিংকে।
advertisement
রাম রহিমকে কঠোরভাবে জেলবন্দিদেরই বিভাগে ফেলা হবে কী না সে বিষয়ে আইনি মতামত চেয়ে জেল কর্তৃপক্ষ ডেরা প্রধানকে ২১-দিনের ছুটিতে মুক্তি দেয়। পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক কয়েক দিন আগেই মুক্তি (Ram Rahim Z-plus Security) পান তিনি। পঞ্জাবের ভাতিন্ডা, সাংরুর, পাতিয়ালা এবং মুক্তসারে রাম রহিমের প্রচুর অনুগামী রয়েছেন। যদিও ৭ ফেব্রুয়ারি, রোহতক জেলার সুনারিয়া জেল থেকে এই সাম্প্রদায়িক নেতার মুক্তি এবং ২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাব নির্বাচনের মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই বলেই দাবি করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টর।
আরও পড়ুন- ভোটে জিতলে উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে বাইরে যাওয়া মানুষদের ডেকে চাকরি দেবে বিএসপি: মায়াবতী
“আমি মনে করি এটি একটি কাকতালীয় ঘটনা এবং নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই”, বলেন তিনি। ডেরার সদর দফতর সিরসায়, নিজের আশ্রমে দুই মহিলা শিষ্যকে ধর্ষণ করার জন্য ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন রাম রহিম। ২০১৭ সালের অগাস্টে পঞ্চকুলার একটি বিশেষ সিবিআই আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।
২০০২ সালে ডেরা ম্যানেজার রঞ্জিত সিংকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য গত বছর অন্য চারজনের সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হন রাম রহিম। ২০১৯ সালে, ডেরা প্রধান এবং অন্য তিনজনকে ১৬ বছর আগে একজন সাংবাদিক হত্যার ঘটনাতেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সহ-অভিযুক্তদের সঙ্গে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার ১২০-বি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।