গত সপ্তাহে বিজয়ের বাড়িতে আসেন তাঁর ভাই৷ কারণ তার আগে সপ্তাহ দু’য়েক তিনি ফোনে পাচ্ছিলেন না ভাইকে৷ তাঁকে চমন বলেন যে কাজের খোঁজে মুম্বইয়ের অন্যত্র গিয়েছেন বিজয়৷ গত ১৯ জুলাই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান চমন৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে স্থানীয় দোকান থেকে ৩ টে শিঙাড়া কেনেন তিনি৷ সোমবার বিকেলে তাঁদের বাড়িতে আসেন বিজয়ের পরিবারের সদস্যরা৷ নতুন বসানো ৩ টে টাইলস দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়৷
advertisement
খনন, কবর দেওয়া এবং লুকানো
এই নতুন এবং অন্য রঙের মেঝের টাইলস দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, তার আড়ালে কিছু একটা রহস্যময় ঘটনা আছে। বিজয়ের পরিবার পুলিশকে খবর দেয়৷ পুলিশ মেঝে থেকে কয়েক ফুট নীচে পুঁতে রাখা একটি কালো প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখতে পায়৷ তার ভিতরে একটি পচা মৃতদেহ ছিল। সর্বশেষ তদন্তে জানা গিয়েছে যে, ১২ দিন আগে, চমনের বাড়িতে ৩.৫ ফুট গভীর এবং ৬ ফুট লম্বা একটি গর্ত খনন করা হয়েছিল। দুই দিন পরে, ১,২০০ টাকা খরচ করে গর্তের উপর টাইলস বসানোর জন্য একজন মিস্ত্রিকে ডাকা হয়েছিল।
টাকার লোভ?
সূত্র জানায়, পেশায় ঘরবাড়ি সংস্কারের ঠিকাদার বিজয় প্রায় এক মাস আগে একটি বীমা পলিসি থেকে ৬ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। তাঁর অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই ২-৩ লক্ষ টাকা ছিল এবং তিনি একটি নতুন বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছিলেন। বিজয় ইতিমধ্যেই তাঁর বর্তমান বাড়িটি স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করেছিলেন। পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে যে চমন বিজয়ের মোবাইল ফোন থেকে বেশ কয়েকটি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) তৈরি করেছিলেন চমন। এর পর তিনি বিভিন্ন এটিএম থেকে টাকা তুলতেন। কত টাকা তুলেছেন, তার পরিমাণ এখনই স্পষ্ট নয়।
বিজয়, চমন এবং মনু
প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক
বলিউড সিনেমা ‘দৃশ্যম’-এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ঘাতক চমন৷ তাঁর সহযোগী ছিল প্রতিবেশী থেকে প্রেমিক হওয়া যুবক, মনু। সূত্র জানিয়েছে, একবার মনুর মা ছেলেকে চমনের সঙ্গে কথা বলার সময় হাতেনাতে ধরেছিলেন এবং তার ফোনটি নিয়ে নিয়েছিলেন। মনুকে দু’দিন কলেজে যেতে দেওয়া হয়নি, কিন্তু পরে তাঁর ফোনটি ফেরত দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্ত চমন, তাঁর প্রেমিক মনুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ চলছে তল্লাশি৷