ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুত মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (CSMIA) ৷ সাইক্লোন মোকাবিলার জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৷ লকডাউনে দীর্ঘদিন দেশে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকার পর পুনরায় উড়ান পরিষেবা শুরু হয়েছে ৷ সঙ্গে কার্গো বিমান পরিষেবা তো রয়েছেই ৷ এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক উড়ান ভারতে বন্ধ থাকলেও মুম্বই বিমানবন্দরে বিদেশি কার্গো বিমানের সংখ্যা দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরের তুলনায় অনেকাংশেই বেশি ৷ ইতিমধ্যেই ইন্ডিগো, বুধবার মুম্বইয়ের ১৭টি ফ্লাইট বাতিল করেছে ৷ আপাতত যা ঠিক আছে, তাতে আগামিকাল ৩ জুন মুম্বই বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩টি বিমান ওঠানামা করবে ইন্ডিগোর ৷ যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, জলের পাম্প সবই এদিন খতিয়ে দেখা হয়েছে ৷ প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে বিমানবন্দরে জল যাতে না জমে যায়, তার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে ৷ বিমানবন্দরে অবশ্য খাবার এবং পানীয়ের ব্যবস্থা ২৪ ঘণ্টাই পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে মুম্বই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ৷ বিমানবন্দরে যে ছোট বা হালকা বিমানগুলি রাখা হয়েছে, সেগুলিকে নিরাপদ স্থান সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ কারণ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেগুলি ৷ আমফানে কলকাতা বিমানবন্দরে ভেঙে পড়েছিল বিমান রাখার হ্যাঙার ৷ নিসর্গ নিয়ে তাই আগেইভাগেই অনেক বেশি সতর্ক মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ৷
advertisement
মুম্বই শেষ ঘূর্ণিঝড় দেখেছিল ১৮৮২ সালে। এরপর থেকে সন্তানের মতই বাণিজ্যনগরীকে আগলে রেখেছে আরবসাগর। সাইক্লোন শক্তি দেখাতেই পারেনি ৷ আরব সাগরের বাতাস সাইক্লোনের মুখ ঘুরিয়ে দেয় ৷ ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা ওমান বা এডেন উপসাগরের দিকে ঘুরে যায় ৷ অনেক সময় গুজরাতের দিকেও চলে যায় ঘূর্ণিঝড় ৷