সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ি এরিকসনকে সুদ সহ ৫৫০ কোটি টাকা দেওয়ার ছিল ৷ সেই পুরো টাকাটাই দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন RCom-র মুখপাত্র ৷
সুপ্রিম কোর্টের কাছে ফেব্রুয়ারি মাসেই ১১৮ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছিল RCom ৷ ২০১৪ সালে সুইডিশ কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ৷ নিজেদের বকেয়া পায়নি এই মর্মে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সুইডিশ কোম্পানিটি ৷
advertisement
নিজের বিবৃতিতে অনিল আম্বানি জানিয়েছেন, ‘‘আমার গভীর ধন্যবাদ আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই মুকেশ ও তাঁর স্ত্রী নীতাকে, আমার খারাপ সময়ে আমার পাশে থাকার জন্য , নিজের পরিবারের প্রতি গভীর দায়িত্ববোধের পরিচয় দেওয়ার জন্য এবং সময়োচিত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ৷ আমি ও আমার পরিবার ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ ওঁদের এই সাহায্যের জন্য ৷ ’’
ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে অনিল আম্বানি ও ওই কোম্পানির দু‘জন ডিরেক্টরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এরিকসনের বকেয়া চার সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে আর না হলে আদালত অবমাননার দায়ে তিন মাসের জেল হবে ৷ এই সময়সীমা মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৯ মার্চ শেষ হত ৷ তার আগেই তাদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানাল RCom ৷
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুকেশ আম্বানি নিজের ভাইকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ৷ ২০১৮ সালে Reliance Jio Infocomm যা মুকেশ অম্বানির কোম্পানি তারা RCom’-র ৩০০০ কোটি টাকার ওয়ারলেস সম্পত্তি কিনে নিয়েছিল ৷
এরিকসন এবং আর কমের এই লড়াই শুরু হয়েছিল যখন সুইডিশ কোম্পানি দেউলিয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে ৷ এটা অভিযোগ ছিল telco-র সারা দেশ ব্যাপী নেটওয়ার্কের জন্য ২০১৩ থেকে ৭ বছরের জন্য চুক্তি হওয়া প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার বকেয়া যা পায়নি ৷
এই মামলা তারপর National Company Law Tribunal থেকে National Company Law Appellate Tribunal গিয়েছিল ৷ যেখানে দুই পার্টির মধ্যে সমঝোতা ৫৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছিল যার সময়সীমা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর ৷
RCom নির্ধারিত তারিখে নিষ্পত্তি না করতে পারায় এরিকসম সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ৷ যেখানে RCom কে আরও একটি সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ দেওয়া হয়েছিল ৷