জানা গিয়েছে, পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকাকে উদ্ধার করে আদালতে হাজির করে। আদালত জানায় যে দুইজনই প্রাপ্তবয়স্ক এবং একসঙ্গে থাকার অনুমতি দেয়। এরপর গ্রামে পঞ্চায়েত বসে, যেখানে যুবকের মাকে অপমান করা হয়। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তে পুরো গ্রাম একমত হয়।
আরও পড়ুন: আড়াই কোটির পন, জুতো চুরিতে ১১ লাখ! জলের মতো টাকা খসল এই বিয়েতে
advertisement
এরপর যুবকের মা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন যে তাকে এবং তার পরিবারকে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমার ছেলের যা করেছে তা ভুল, কিন্তু এতে আমার কোনও দোষ নেই। আমাকে এবং আমার পরিবারকে কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?” তিনি থানার ইনচার্জের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেন।
বৃদ্ধ মা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত তাদের পরিবারকে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না দেওয়া এবং কারও জমিতে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্তে বৃদ্ধ মা এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, চলন্ত বাস থেকে পানের পিক ফেলতে গিয়ে পড়ে গেলেন যাত্রী, মুহূর্তে থেমে গেল জীবন!
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন গ্রাম প্রধান সোনু কুমার। গ্রাম প্রধান জানিয়েছেন, “একই জাতির ছেলে-মেয়ের পালিয়ে যাওয়ার কারণে গ্রামের বদনাম হয়েছে। পঞ্চায়েতে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।”
তবে এখানেও একটা টুইস্ট রয়েছে। এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছে একটি নির্দোষ পরিবারের বিরুদ্ধে, আর গ্রাম প্রধান বিষয়টি কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, পরিবারকে যে বয়কট করা হয়েছে সেই বিষয়ে তিনি জানেনই না!