তদন্তে প্রকাশিত হয়েছে, Oreva Group আসলে একটি ঘড়ি নির্মাণকারী সংস্থা৷ সেই সংস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করার কোনও অভিজ্ঞতাই আগে ছিল না৷ তবু এ বারে সরকারের থেকে এরা বরাত হয়েছিল৷ মোট সংস্কারের জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ২ কোটি টাকা৷ কিন্তু তার থেকে মাত্র ১২ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল এই সংস্থা৷ তাতেই নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, কী করে আনুমানিক খরচের মাত্র ছ’শতাংশ খরচে এই সেতুর সংস্কারের কাজ সেরে ফেলল সংস্থা৷ তার মানে এতে কোনও না কোনও গাফিলতি ছিল৷
advertisement
আরও পড়ুন: সত্যিই কি লটারি জিতে কোটি টাকা পেয়েছিলেন অনুব্রত? রহস্য ফাঁস করতে আসানসোল জেলে সিবিআই
আরও পড়ুন: চোখ কেন ঢাকা? ভিড়ের মধ্যেও ছোট্ট মেয়েকে দেখেই এগিয়ে গেলেন অভিষেক, মিলল চিকিৎসার আশ্বাস
শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার পর বিস্তারিত তদন্তের পথে হেঁটেছিল প্রশাসন৷ প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল ফরেন্সিক তদন্তেরও৷ সেই ফরেন্সিক তদন্তেই দেখা গিয়েছে, এই সেতুকে নতুন করে শক্তপোক্ত ভাবে গড়ে তোলার কোনও কাজই করেনি সংস্থা, শুধু আদি সেতুর সামান্য কিছু মেরামত করেছিল, তাতে সেতুর বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া মোটেই সম্ভব নয়৷
Oreva group সরকারের কাছ থেকে এই সেতুটি ১৫ বছরের জন্য দেখভাল বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছিল৷ কিন্তু এদের হাতে সংস্কার করা সেতু গত রবিবার বিকালেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে৷ সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩৫ জনের৷ ঘটনার ভয়াবহতায় কেঁপে ওঠে গোটা দেশ৷ প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান৷ তবে পুলিশের তদন্তে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আসলে গোড়ায় ছিল গলদ৷
