আরও পড়ুন: পুরসভার নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে কলকাতায় চলছে এই অবৈধ ব্যবসা
উত্তরপ্রদেশের পিলিভিতে নির্বাচনী আধিকারিক এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন আচমকা। এমনিতেই যোগীরাজ্য়ে হাওয়াগরম। তার মধ্য়ে ৩৪টি নতুন ইনস্টল করা সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাওয়া, এ তো আর সোজা কথা নয়। প্রাথমিকভাবে, কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল এটি একটি কোনও একটি রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো উচিত বলেই মনে করেছিল। কিন্তু পরে জানা গেল এপিএমসি কমপ্লেক্সে স্থাপন করা ইভিএম এবং ভিভিপ্য়াট (EVMs and VVPAT machines) মেশিনগুলি কোনও বিরোধী দলের লোক নষ্ট করেনি। তাহলে করল টা কে?
advertisement
আরও পড়ুন: আগামী ২২ তারিখ চার পুরনিগমের মেয়র হিসাবে শপথ গ্রহণ হতে পারে
প্রাথমিক তদন্তের পরে বুঝতে পারা যায়, হনুমান বা বাঁদরের একটি দল দ্বারা সরঞ্জামগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরএস গৌতম (Additional district magistrate RS Gautam) জানিয়ছেন, ঘরে মোট ৫২টি নতুন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যার প্রতিটির দাম ২৫০০ টাকা। এমন অন্তত ৩৪টি ক্যামেরা বাঁদর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আপাতত পশুদের উপর নজর রাখতে বন দফতর ৯ জন সদস্যের তিনটি দল মোতায়েন করেছে। এ পর্যন্ত ৭টি বাঁদর ধরা পড়েছে। প্রায় ২৫ জন নিরাপত্তা কর্মীও সর্বক্ষণ পাহারায় রয়েছেন। ইভিএম এবং ভিভিপ্য়াটগুলি একটি পৃথক ঘরে তালাবদ্ধ এবং নিরাপদ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh Assembly Election) দ্বিতীয় দফায় মোট ৯টি জেলায় ৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরে ছিল সাহারানপুর, বিজনৌর, মোরাদাবাদ, সম্বল, রামপুর, আমরোহা, বদায়ুন, বরৈলি ও শাহজাহানপুর। তারপরে এই ক্ষতি তে কিছুটা হলেও মাথায় হাত তো পড়েই ছে...