প্রকৃতপক্ষে, বিহারের দারভাঙ্গায় বসবাসকারী দুই ভাই – আশুতোষ ঝা এবং বিপিন ঝা, এই জালিয়াতির বড় মুখ হিসেবে উঠে এসেছে। দুজনেই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট৷ অভিযোগ, যে ওই দুই ভাই সীমা হায়দার এবং সচিনের ছবি এবং নাম ব্যবহার করে একটি জাল আইডি তৈরি করেছিলেন এবং এর মাধ্যমে তারা অরুণাচল প্রদেশ সরকারের প্রায় ৯৯.২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন।
advertisement
কীভাবে কেলেঙ্কারি করা হয়েছিল?
ইডির রিপোর্ট অনুসারে, কেলেঙ্কারিটি বেশ বড়। দেশজুড়ে শেল কোম্পানি তৈরি করা হয়েছিল, যাদের নামে কোনও আসল ব্যবসা না করেই জাল বিল তৈরি করা হয়। এই জাল লেনদেনের মাধ্যমে ট্যাক্স ক্রেডিট নেওয়া হয়েছিল এবং সরকারকে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, এই অর্থ হাওয়ালা এবং অন্যান্য অবৈধ ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছিল।
এই দুই ভাই যে এই প্রথমবার আলোচনায় এসেছে তা নয় । ২০২৪ সালেও অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ উভয় ভাইকে গ্রেফতার করেছিল। তখন তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ কোটি টাকার আইটিসি কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হয়েছিল ওদের বিরুদ্ধে।
এখন ইডি দিল্লি, হরিয়াণা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং অরুণাচল প্রদেশে একটি বৃহৎ পরিসরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। ইটানগরে ইডির জোনাল অফিস ১১ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টায় অভিযান শুরু করে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ডিজিটাল প্রমাণ জব্দ করে। সংস্থার মতে, শীঘ্রই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং কেলেঙ্কারির পুরো ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হবে জালিয়াতির জাল৷
আরও পড়ুন: ভারতের সাথে ‘যোগ’, এখান থেকেই সব…! জানেন কুলমান ঘিসিং-কে কেন পছন্দ নেপালের Gen Z-র
এই মামলাটি কেবল কর ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা নয়, বরং এটি দেখায় যে কীভাবে দেশজুড়ে জালিয়াতির জাল ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের নাম এবং পরিচয়েরও অপব্যবহার করা হয়। বিহার থেকে দিল্লি এবং দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া এই জালিয়াতি আবারও প্রশ্ন তুলেছে যে কর ফাঁকি এবং হাওলা ব্যবসার এই সংগঠিত খেলা বন্ধ করা কতটা কঠিন।