কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন, "দেশদ্রোহী শব্দটি আইনে ব্যাখা করা নেই। তবে দেশের সার্বভৌমত্ত্ব এবং অখণ্ডতায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন অপরাধ বা কার্যকলাপের মোকাবিলা করতে একাধিক ফৌজদারী বিধি রয়েছে।" কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ১৯৫০ সালের ভারতীয় সংবিধানে ৩১ডি ধারা ছিল না। পরে ১৯৭৬ সালের সংশোধনীতে এটি যোগ করা হয়। যদিও পরের বছর ১৯৭৭ সালে সেটি আবার মুছে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার সাসপেন্ড হলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন
চলতি অধিবেশনেই দেশদ্রোহ আইনের প্রয়োগ ও বিলুপ্তি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ৷ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, দেশদ্রোহ আইন তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রসঙ্গে দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, আইন প্রত্যাহার যে করা হবে না, সেটা মন্ত্রী জানিয়েছেন ৷ তবে, এই আইনের আওতায় কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানাননি ৷ কিরেণ রিজিজু প্রশ্ন তোলেন, ইউপিএ জমানায় কত হাজার মানুষের উপর এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল ? লোকসভায় বক্তব্য পেশের সময় কিরেণ রিজিজু জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসি-র ১২৪ এ ধারা প্রত্যাহার করার কোনও প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে না ৷
আরও পড়ুন:শিশুদের করোনা টিকা প্রদানের এই মুহূর্তে কোনও প্রয়োজন নেই: কেন্দ্রীয় সংস্থা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাতেই দেশদ্রোহিতা সংক্রান্ত অভিযোগগুলির মামলা চলে ৷ কিরেণ রিজিজুকে নিশানা করেন পি চিদম্বরম ৷ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী খবরের কাগজে প্রকাশিত সুপ্রিম কোর্টের শুনানি সংক্রান্ত খবরগুলিও পড়েন না ৷ এটাও তিনি বলেননি ৷’’
RAJIB CHAKRABORTY