হিমন্ত জানিয়েছেন, অসম-মেঘালয় সীমানায় সংঘর্ষের ঘটনার কারণ খুঁজতে সিবিআই অথবা এনআইএ তদন্তের কথা ভাবা হচ্ছে। গোটা ঘটনা নিয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানা তিনি। মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনা অসম-মেঘালয় শান্তি প্রক্রিয়াতেও বাধা হবে না বলে অনুমান হিমন্তের।
অন্যদিকে, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাও জানিয়েছেন মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে তাঁর অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে। গোটা ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে অসমের জিরিকিংডিং থানার ওসি, ওই এলাকার ফরেস্ট রেঞ্জার অফিসারকে। শাস্তিমূলক বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিম কার্বির পুলিশ সুপারকে।
advertisement
মঙ্গলবার অসম-মেঘালয় সীমানার মুরোখ এলাকায় দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ৫ জন মেঘালয় ও একজন অসমের বনরক্ষী ছিলেন বলে খবর। অসম পুলিশ ও বনরক্ষীদের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করে মেঘালয়।
আরও পড়ুন, মমতা বেরোতেই তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়, বড় ইস্যুতে সুর চড়াল বিজেপি
আরও পড়ুন, 'মানুষের জন্য জীবন দিতে রাজি আছি', 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ মমতার!
কিন্তু কেন হঠা এই সংঘর্ষ? স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে অসম-মেঘালয় সীমানার কাছে কাঠবোঝাই একটি ট্রাক আটকায় অসমের বন দফতরের কর্মী। সেই সময় ট্রাকের চালক পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালানো হয়। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কারনাড সাংমা। অশান্তি যাতে বেশি দূর না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে তড়িঘড়ি ৭টি জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
মুরোখের ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। দুঃখপ্রকাশ করে টুইট করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। তৃণমূলের তরফেও ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গতবছরও এই এলাকায় দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে গুলির যুদ্ধে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।