অভিযুক্ত পুত্রবধূ মুসকান ও তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্লার ফাঁসির দাবি জানিয়েছে মৃত সৌরভের পরিবার। সৌরভের মা রেণুদেবীর অভিযোগ, পুত্রবধূ মুসকান ও তাঁর প্রেমিক সাহিল মিলে সৌরভকে খুন করে, তারপর দেহ একটি ড্রামে সিমেন্ট দিয়ে ভরে রেখে সিমলা ঘুরতে চলে যায়, যেন কিছুই হয়নি।
advertisement
৪ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন সৌরভ। সম্প্রতি মুসকান এবং সাহিল ড্রাম সরানোর জন্য কয়েকজন শ্রমিককে ডেকে আনেন। কিন্তু ড্রাম তুলতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধে। প্রচণ্ড ভারি। সরানোই যাচ্ছে না। শ্রমিকরা জানতে চান, ভিতরে কী আছে? মুসকান অবলীলায় বলে দেন, বাড়ির আবর্জনা। টানাহেঁচড়ার মধ্যেই ড্রামের ঢাকনা খুলে যায়। তীব্র দুর্গন্ধ বেরতে থাকে। সন্দেহ হয় শ্রমিকদের। তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
সৌরভ রাজপুতের মা বলেন, “ওরা (মুসকান ও সাহিল) আমার ছেলেকে খুন করে বেড়াতে চলে যায়। একটা ঘরে দেহ রেখেছিল। বাড়ির মালিক (সৌরভ ও মুসকানকে) ঘর খালি করতে বলেন। তখন ওরা (মুসকান ও সাহিল) দেহ ড্রামে ভরে রাখে। কিন্তু শ্রমিকরা তুলতে পারছিল না। এত ভারী কেন, জিজ্ঞেস করে, তখন মুসকান বলেন, বাড়ির আবর্জনা আছে। হঠাৎ ড্রামের ঢাকনা খুলে যায়। দুর্গন্ধ বেরতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয়।”
মুসকানের পরিবারের দিকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন রেণুদেবী। তাঁর দাবি, ওঁরা সব জানতেন, “পুলিশ আসতেই মুসকান মায়ের কাছে গিয়ে সব বলতে শুরু করেন। আসলে ওঁর মা আগে থেকেই সব জানতেন। কিন্তু বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বলেছিলেন, মুসকান না কি তখনই জানায়, সে সৌরভকে খুন করেছে।“
মুসকান এবং সাহিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন দু’জনের ফাঁসি চান সৌরভের মা। তাঁর আরও অভিযোগ, সৌরভের মেয়ে প্রতিবেশীদের বলেছিল, বাবা ড্রামে আছে। হয়তো কিছু দেখে ফেলেছিল। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, মুসকান ও তাঁর প্রেমিক সাহিল সৌরভকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে বাড়ির মালিক তাঁদের ঘর খালি করতে বলেন। তখন ড্রাম সরানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। শ্রমিকরা ড্রাম সরাতে গেলে ঢাকনা খুলে যায়। তখনই গোটা ঘটনা সামনে আসে।
