এই মহিলা গত ২ বছর ধরে পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা সহ্য করছিলেন। তার পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল ছিল, যার কারণে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারছিল না। কিন্তু যখন ব্যথা অসহ্য হয়ে ওঠে, তখন পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সিটি স্ক্যান করার পর ডাক্তাররা হতবাক হয়ে যান।
আরও পড়ুন: মা বাড়ি ছাড়লেই জেগে উঠত বাড়ির দানব, সৎ মেয়ের উপর অকথ্য অত্যাচার বাবার!
advertisement
গোহাদ গ্রামের বাসিন্দা কমলাবাই গত দুই বছর ধরে পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছিল। এমনকি দামি ওষুধও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি। চিকিৎসার খরচের জন্য পরিবারের সদস্যরা ঋণ নিয়েছিল, কিন্তু কমলাবাইয়ের অবস্থার উন্নতি হয়নি।
বৃহস্পতিবার, কমলাবাইয়ের স্বামী তাকে ভিন্ড জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেন। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে ডাক্তাররা হতবাক হয়ে যান। রিপোর্টে দেখা যায়, তার পেটে একটি কাঁচি রয়েছে। এরপর তার পরিবার অপারেশন করা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে।
আরও পড়ুন: দেশের খেয়ে পাকিস্তানে গোপন তথ্য পাঠাত গুজরাটের ব্যক্তি! প্রতিদিন মিলত মাত্র ২০০ টাকা
কমলাবাইয়ের পরিবারের দাবি, ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গ্বালিয়রের কমলা রাজা হাসপাতালে তার পেটে ক্যানসারের টিউমার অপারেশন করা হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, সেই অপারেশনের সময়ই ডাক্তাররা তার পেটে কাঁচি রেখে গিয়েছিলেন। সেই সময় থেকে তিনি অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করে আসছেন। বিভিন্ন ডাক্তারকে দেখানো হলেও কোনো উন্নতি হয়নি।
ভিন্ড জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান বিভাগের ইনচার্জ সতীশ শর্মা জানিয়েছেন, “কমলা নামে এক রোগী এসেছিলেন। সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে তার পেটে কাঁচি পাওয়া গেছে। তিনি গত দুই বছর ধরে যন্ত্রণায় ভুগছেন।” বর্তমানে, কমলাবাইয়ের পরিবার অভিযুক্ত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।