গোয়েন্দা সূত্রের মতে, জৈশ-ই-মহাম্মদ (জেএম) এবং লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি)-এর মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন যা মূলত রাম মন্দিরে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নেপাল দিয়ে গোলাবারুদ ও আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকেও আনার পরিকল্পনাও করছে।
গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মন্দির তৈরি হওয়ার আগেই রাম জন্মভূমিতে হামলা করা এখন এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। এই সংগঠনগুলোর উদ্দেশ্য এই হামলার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পাশাপাশি এটিকে একটি বড় অশান্তি হিসাবে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা।
advertisement
আরও পড়ুন: মোক্ষম সময়ে জালে আইএস জঙ্গি সাদ্দাম, জেরায় ভয়ঙ্কর তথ্য়! মধ্য়প্রদেশে ধৃত আরও এক
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে চাকরির নামে লাখ লাখ টাকার প্রতারণার বিরাট অভিযোগ! গ্রেফতার বাংলার শিক্ষক
গোয়েন্দা সূত্রের ধারণা, এ ব্যাপারে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কিছু যোগও রয়েছে। পাকিস্তানের আইএসআই ৩৭০ ধারা সফলভাবে বাতিল করার পর থেকে কাশ্মীরে হিংসা উস্কে দিতে স্পষ্টতই ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের যে কোনও প্রচেষ্টা সফলভাবে রুখে দিয়েছে। তাদের সব টানেল চিহ্নিত করে মাদক চোরাচালানে বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রের কথা অনুসারে, পাকিস্তানে বর্তমানে বিপুল সংখ্যায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে৷ এমনকী তালিবানও তাদের কোনও ধরনের সমর্থন করছে না। আইএসআই এখন নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে ভারতে কোনও না কোনওভাবে কিছু কার্যক্রম চালাতে চাইছে। রাম মন্দিরে যে কোনও হামলা, বড় বা ছোট, আইএসআই এবং তার সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলবে বলেই এই ষড়যন্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে।