জানা গিয়েছে, হার্টের অসুখের বিভিন্ন ওষুধ, যন্ত্রণানাশক, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফেক্টিভ সহ সমস্ত ওষুধের দাম ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে চলেছে।
ফি বছর পেইনকিলার থেকে অ্যান্টিবায়োটিকের পাইকারি ফার্মাসিউটিক্যাল মূল্যবৃদ্ধির হারের সূচক পরিবর্তন করে ন্যাশনাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)।
আরও পড়ুন- ২০২৪-ফের ক্ষমতায় আসবেন মোদি! রাইজিং ইন্ডিয়ার মঞ্চে বিরোধীদের বিঁধে জানালেন অমিত
গত বছর ওষুধের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ১০.৭ শতাংশ। এর ওপর বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা দাম নির্ধারণ করে। জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ, ত্বকের রোগ, রক্তাল্পতা সহ প্রায় ৮০০-র বেশি ওষুধের দামের হেরফের হয়।
advertisement
এবার এনপিপিএ-র পদক্ষেপ অনুযায়ী, ওষুধের দাম ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে চলেছে। দাম বাড়ছে জীবনদায়ী, জটিল রোগের ওষুধপত্রেরও। কেমিস্টদের দাবি, ওষুধ তৈরির কাঁচামালের দাম অনেক বেড়েছে।
বেশির ভাগ জিনিস বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এর ওপর বিভিন্ন শুল্ক, প্যাকেজিংয়ের খরুচপত্র রয়েছে। সব মিলিয়ে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি, রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় এবার যুক্ত হল ওষুধের নাম। মূল্যবৃদ্ধির ফলে কতটা প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
অনেকেরই মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয়। সেই দাম এবার কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে কেউ জানে না। জটিল রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে টানা পাঁচ সাত মাস ওষুধ খেতে হয় অনেক সময়। দাম বৃদ্ধির পর টাকার অঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে আমজনতার।
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির খবরে চিন্তিত চিকিৎসকরাও। তাঁদের দাবি, করোনা অতিমারির পর অর্থনীতি এমনিই তলানিতে। এই দাম বৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষ এবার আরও বিপদে পড়বেন।
আরও পড়ুন- 'বিরোধী ঐক্য TRP বাড়ানোর কৌশল, ২০১৯-র থেকে ২০২৪-এ বেশি আসন পাবে NDA,' বললেন শাহ
জটিল চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওষুধের দাম বাড়তে বাড়তে যদি মানুষ তা কেনার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে এবং মাঝপথে ওষুধ বন্ধ করে দেন সেক্ষেত্রে উল্টে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।