আদিবাসী উপজাতীয় নেতাদের ফোরাম (আইটিএলএফ) অনুসারে, ঘটনাটি মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে রাজ্যে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার একদিন পরে, কাংপোকপি জেলায় গত ৪ মে ঘটেছিল। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন এবং অত্যন্ত অমানবিক বলেই ঘটনাটিকে বর্ণনা করেছে। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, “মণিপুর থেকে ২ মহিলার যৌন নিপীড়নের ভয়ঙ্কর ভিডিও নিন্দনীয় এবং ভয়ঙ্কর অমানবিক৷ মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জির সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে আমরা ন্যায়বিচারের জন্য কোনও খামতি রাখব না।”
advertisement
প্রথমে মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ৷ তার উপর বিবস্ত্র করে দুই মহিলাকে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একদল পুরুষ৷ তার মধ্যেও দুই মহিলাকে ক্রমাগত হেনস্থা ও শারীরিক নির্যাতন চলছে৷ অশান্ত মণিপুরের এমনই এক ভয়াবহ ভিডিও ভাইরাল হতেই দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ ঘটনা যে সত্যি, তা বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করে নিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং৷ একই সঙ্গে দোষীদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন: গণধর্ষণের পর মণিপুরে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হল দুই মহিলাকে! দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়
মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুন না কেন, ঘটনাটি প্রায় দু মাস আগের৷ এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মণিপুরের কাংগপোকপি জেলায় গত ৪ মার্চ এই ঘটনা ঘটেছিল৷ রাজধানী ইম্ফল থেকে ওই এলাকাটি প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে৷ আদিবাসীদের সংগঠন আইটিএলএফ অভিযোগ করেছে, বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর আগে একটি মাঠের মধ্যে গণধর্ষণ করা হয় ওই দুই নির্যাতিতাকে৷ শিউরে ওঠার মতো এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই প্রশ্ন উঠেছে, ঘটনার পর প্রায় দু মাস কেটে গেলেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ৷ ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় দুই নির্যাতিতাদের পরিচয়ও ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জোড়া হুঁশিয়ারি শুভেন্দু-সুকান্তর, একুশে জুলাইয়ের দিনই পাল্টা কর্মসূচি বিজেপি-র
গত প্রায় দু মাস ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে আগুন জ্বলছে মণিপুরে। যে দিন এই দুই মহিলাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ, তার ঠিক একদিন আগে আদিবাসী মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী কুকিদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল৷ এই ঘটনা তারই জেরে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি৷ মেইতেইদের তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিকে ঘিরেই অশান্তির সূত্রপাত।
মণিপুর পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই অপহরণ, গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে৷ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ট্যুইট করে দাবি করেছেন, ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি তাঁকে ফোন করেছিলেন৷ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী৷ স্মৃতি ইরানি নিজেও ট্যুইট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন৷