জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বরাক নদীতে ভেসে থাকতে দেখা যায় তিনটি দেহ। এরপর শনিবার দুপুরে আরও তিনটি দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে সেই দেহগুলিকে। যে ৬ জনকে কুকি জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল, তাদের দেহই পাওয়া গেল বলে মনে করছে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে তিন মহিলা এবং তিন শিশু রয়েছে। ইম্ফল পশ্চিম জেলার সাগোলবন্দ এলাকায়, বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের জামাই বিজেপি বিধায়ক আরকে ইমোর বাসভবনের বাইরে হত্যাকাণ্ডের জবাব চাওয়ার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
advertisement
এদিকে, কেইশামথং নির্বাচনী এলাকার টিডিম রোডে নির্দল বিধায়ক সাপম নিশিকান্ত সিংয়ের বাসভবনে সামনে জড়ো হয়ে বিধায়কের মালিকানাধীন একটি স্থানীয় সংবাদপত্রের অফিসে হামলা চালায়। উত্তেজিত জনতা বাড়ির বাইরের একটি অস্থায়ী কাঠামোও ভাঙচুর করে। ইম্ফল পশ্চিমের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টিএইচ কিরণকুমার শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে থেকে কারফিউ জারির নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ আগাছা বলে অবহেলা নয়! তেলতেলে, রসালো এবং গাঢ় সবুজ এই শাক ক্যালসিয়ামের খনি, দূর করে তোতলামি
জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম ইয়ুরেনবাম রানি দেবী (৬০), তেলাম থোবি দেবী (৩১), তেলাম থাজামানবী দেবী (৮), লৈসরাম চিঙ্গখেইঙ্গানবা সিং (২ বছর ৫ মাস), লৈসরাম লাঙ্গাম্বা সিং (৮ মাস)। আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাস থেকে বারে বারে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মণিপুর। জাতি সংঘর্ষে ২০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে ধর্ষণ, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের খবর এসেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই পরপর দু’টি নৃশংস মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। তবে বেশ কয়েকমাস ধরে শান্তি বজায় ছিল, সেই সময় পরিস্থিতি বুঝে তুলে নেওয়া হয়েছিল আফস্পা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ফের এই আইন লাগু হয় বৃহস্পতিবার।