থকচোম জানিয়েছেন, রাজ্যপাল তাঁদের আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন৷
তবে এর পরেও থকচোম জানিয়েছেন, তাঁরা সরকার গড়তে প্রস্তুত হলেও মণিপুরে জোটের সরকার গড়ার বিষয়ে শেষ কথা বলবেন অবশ্যই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ তিনি জানান, এখন তাঁরা সরকার গড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও, আনুষ্ঠানিক ভাবে দাবি জানানো হবে দিল্লি নেতৃত্ব থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই৷
advertisement
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সরকার গড়তে ইচ্ছুক ৪৪ জন বিধায়কের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন, সে রাজ্যের স্পিকার টিএইচ সত্যব্রত৷ নতুন সরকার গড়ার বিষয়ে এখনও কোনও বিরোধিতা আসেনি বলেই খবর৷
২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই সংরক্ষণ নিয়ে শুরু হয় মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই এবং উপজাতি কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষ৷ মাসের পর মাস দুই গোষ্ঠীর মধ্যে খুনোখুনি, ধর্ষণ, পাল্টা ধর্ষণ, হিংসা, অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনার পরে বিশৃঙ্খলার দায় স্বীকার করে সরে যেতে হয় সে রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-কে৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মণিপুরে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন৷
আরও পড়ুন: পুলিশের ইউনিফর্ম পরে তোলাবাজি! সিভিক ভলান্টিয়ারকে কড়া শাস্তি…জানুন কী করল লালবাজার
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় ৫৯ জন নির্বাচিত সদস্য রয়েছেন৷ এক বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে৷ তাঁর আসন বর্তমানে শূন্য৷ রাষ্ট্রপতি শাসন শেষ করে নির্বাচিত বিজেপি-জোট সরকার তৈরি করতে যে ৪৪ জন বিধায়ক রাজি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৩২ জন মেইতেই বিধায়ক, ৩ জন মণিপুরি মুসলিম এবং ৯ জন নাগা বিধায়ক৷
অন্যদিকে, কংগ্রেসের পক্ষে রয়েছে ৫ কংগ্রেস বিধায়ক, প্রত্যকেই মেইতেই৷ মণিপুর বিধানসভার বাকি ১০ বিধায়ক কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত৷ তাঁদের মধ্যে ৭ জনই বিজেপি’র টিকিটে বিজয়ী৷ ২ জন কুকি পিপলস অ্যালায়েন্সের এবং একজন নির্দল৷