যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় নেমে বীরেন সিংকে রাজ ভবন যাওয়া থেকে বিরত করেন তাঁর সমর্থকরা৷ তৈরি হয় নাটকীয় পরিস্থিতি৷ এর পরেই ট্যুইট করে বীরেন সিং জানিয়ে দেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না৷
ট্যুইটারে বীরেন সিং লেখেন, ‘এই কঠিন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে আমি ইস্তফা দিচ্ছি না৷’
advertisement
আরও পড়ুন: অবশেষে ইডি দফতরে হাজিরা সায়নী ঘোষের, পৌঁছেই কী বললেন যুবনেত্রী?
গত প্রায় মাস দুয়েক ধরে অশান্ত হয়ে রয়েছে মণিপুর৷ গোষ্ঠী সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে অসংখ্য মানুষের, ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপন৷ অশান্তিতে লাগাম টানতে নামাতে হয়েছে সেনা৷ এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই আঙুল উঠতে শুরু করেছিল৷ দিন কয়েক আগেই দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন বীরেন সিং৷ তার পর বৃহস্পতিবার নতুন করে অশান্তিতে আরও তিন জনের মৃত্যু এবং পাঁচ জন আহত হন৷ এই ঘটনার পরেই বীরেন সিংয়ের সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাতের খবর প্রকাশ্যে আসতেই মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার জল্পনা ছড়ায়৷
এই খবর সামনে আসতেই রাস্তায় নেমে পড়েন বীরেন সিংয়ের সমর্থকরা৷ রাজ ভবনে যাওয়ার পথে বীরেন সিংয়ের কনভয়ও আটকানোর চেষ্টা করেন তাঁরা৷ মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ না করার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন মহিলা সমর্থকরাও৷ কালো পোশাক পর পুরুষ এবং মহিলারা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের গেটের সামনে বসে পড়েন৷ যাতে মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে রাজ ভবনে যেতে না পারেন৷ মণিপুরকে বিভক্ত করা যাবে না, সরকারের পতন মেনে নেওয়া হবে না, মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলবে না- এরকম স্লোগানও দিতে থাকেন বীরেন সিংয়ের সমর্থকরা৷
এমন খবরও পাওয়া যায় যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগ পত্রও লিখে ফেলেছিলেন৷ পরে তা ছিঁড়ে ফেলা হয়৷ সেই ছিঁড়ে ফেলা পদত্যাগপত্রের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে৷ পরে দলের মহিলা নেত্রীরা সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না৷ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে থেকে ভিড়ি ফাঁকা হয়৷