ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, "মানুষ কাজ পাচ্ছে না। মানুষ খাবার পাচ্ছে না। এই রাজ্যে দৈনিক পরিশ্রমের উপরে বহু মানুষ নির্ভর করে থাকেন৷ বাম সরকারের আমলে এই অবস্থা একেবারেই ছিল না। এর ফলে মানুষের মধ্যে একটা ঘৃণা তৈরি হয়েছে। মানুষ তাঁদের নিজেদের ভুল বুঝতে পারছে৷ মানুষ সেটা বুঝতে পেরেই আসছেন আমাদের অফিসে৷ মানুষ নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মেরেছে৷ সেটা মানুষ বুঝেছে।আমি নিজে খোঁজার চেষ্টা করেছি কেন পাঁচ বছর আগে আমরা হেরে গিয়েছি। ওরা ভিশন ডকুমেন্টস বলে যা প্রচার করেছিল, তার নামে প্রতারণা করা হয়েছে৷ ঘরে ঘরে চাকরি দেবে বলেছিল। এখানে ১০ লক্ষ ঘর আছে। আমি না হয় তিন লক্ষ বাদ দিলাম । আমাদের ইতিমধ্যেই ১ লাখ ৬২ হাজার কর্মী আছে৷ এবার যদি ধরেই নিই পাঁচ লক্ষ চাকরি দেবে। তাঁরা বসবে কোথায়, তাদের কাজ কোথায়, তাঁদের বেতন কীভাবে হবে?'
advertisement
আরও পড়ুন: দলীয় কর্মীর বাড়িতে শাহি-'লাঞ্চ', মেনুতে ছিল জিভে জল আনা মণিপুরী খাবার
মানিক সরকার অবশ্য স্পষ্ট বলছেন, 'আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিই। শ্রমিক, কৃষকরা এখন বিজেপির বিরুদ্ধেই লড়াই করছেন। আমি দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক কর্মী। আগে কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয়নি৷ তবে আমরাই প্রথম জোটের হয়ে সওয়াল করেছি। আমাদের আবেদনে উত্তর পেতে সময় লেগেছিল। কিন্তু কংগ্রেস এগিয়ে আসে। তারা সাড়া দেয়। তারা বুঝতে পারে এটা ভাল জিনিস। এতে সাধারণ মানুষ উৎসাহিত হয়। দু' পক্ষই আমরা এক স্লোগান দিয়েছি।'
কিন্তু কেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন না তিনি? মানিক সরকারের জবাব, 'ভোটেই দাঁড়াতে হবে এমন কোনও বিষয় নয়৷ আমি দলের একনিষ্ঠ সৈনিক। দল যা বলবে তাই করব। দলের নির্দেশ মানতে হবে। আমাদের রাজনীতিতে সন্ন্যাস নেওয়ার সুযোগ নেই৷ মৃত্যুর আগের দিন অবধি লড়াই করব। আমরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছি না৷ আমরা আমাদের কথা বলছি। ওরা ওদের কথা বলছে৷ এটা ব্যক্তি লড়াই নয়। এটা হল কর্মসূচি ও অঙ্গীকারের লড়াই।' দু' দশক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো মানিক বলছেন, 'অভিজ্ঞতাই জীবনের সবথেকে বড় শিক্ষক৷'
সব সর্বশেষ পড়ুন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন 2023 এখানে খবর