অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “একটা সময় ছিল যখন মানা হত মহিলারা শুধু ঘরের কাজ করবে। সেই চিত্র এখন অতীত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের সরকার মহিলাদেরকে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যেতে সচেষ্ট। বর্তমান কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার মহিলাদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প এবং সুবিধা প্রণয়ন করছে।
advertisement
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ড মানিক সাহা বলেন, “রাজ্যে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বসহায়ক দলগুলির মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে বর্তমানে ৮৩ হাজার ৪২৪ জন ‘লাখপতি দিদি’ হয়েছেন। সরকারি স্টল বিতরণের ক্ষেত্রে মহিলাদের ৫০ শতাংশ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য মহিলা ক্যাটাগরিতে স্ট্যাম্প শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ৪ লক্ষ ১০ হাজার সুবিধাভোগীকে সামাজিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় এখন পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৬৩ জনকে বিনামূল্যে এলপিজি গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যে ৪ লক্ষের উপর পাকা আবাস তৈরি করা হয়েছে।
এই সরকার চায় সবার মাথার উপর ছাদ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এর অন্যতম প্রতিফলন স্বসহায়ক দলগুলির উত্তরণ। শহরি সমৃদ্ধি উৎসবে তার প্রতিফলন ঘটেছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড মানিক সাহা এই মেলার আরও সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্বসহায়ক দল ও সুবিধাভোগীদের হাতে ব্যাঙ্ক ঋণের চেক তুলে দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।