পুলিশ রেসপন্স ভেহিকেলস বা পিআরভি-র একটি টহলরত দলের কানে আসে আর্ত কান্না৷ জল চেয়ে আর্তি জানাচ্ছিল পিপাসার্ত কণ্ঠটি৷ প্রথমে ভাবা হয়েছিল সেটি হয়তো কোনও নারীকণ্ঠ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন আউটপোস্ট ইন চার্জ মহেন্দ্র৷ সঙ্গে ছিলেন আর এক জন কর্মী৷ তাঁরা আবিষ্কার করেন এক জন তরুণ আপাদমস্তক কাদামাখা অবস্থায় পড়ে আছেন৷ সেতুর থামের সঙ্গে বাঁধা ছিলেন তিনি৷ প্রথমে তাঁকে ভূত ভেবে ভল করেছিলেন পুলিশ৷ পরে ভুল ভাঙতেই উদ্ধারের চেষ্টা করেন পুরেন পুলিশ৷ কিন্তু সেখানেও বিধিবাম৷ অভিযোগ, ওই যুবক হিংস্র ভাবে তেড়ে আসেন৷ শেষে কিছুটা শান্ত হওয়ার পর তিনি জানান তাঁর নাম পবন৷ বাড়ি, বিহারের সমস্তিপুরে৷
advertisement
আরও পড়ুন : কাশ্মীরের অনন্তনাগে গুলিবৃষ্টিতে আশঙ্কাজনক হয়েও বীর বিক্রমে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই সেনাবাহিনীর কুকুরের
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, পুলিশের কাছে পবন জানিয়েছেন তাঁরা বাবা রাজু সাইনি বছর দুয়েক আগে তাঁকে ফেলে রেখে চলে যান৷ আর ফিরে আসেননি৷ কিছু দিন ভবঘুরের মতো এদিকে ওদিকে ঘোরার পর পবন পৌঁছন কানপুরের চকরপুর মাণ্ডিতে৷ সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন৷ তার পর ঘুরতে ঘুরতে এসে পোঁছন কানপুরে৷ একদিন নিজেই নাকি নিজেকে সেতুর স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন পবন৷ তিনি জানিয়েছেন পুলিশকে৷ শিকল দিয়ে নিজেকে বেঁধে, তালাবন্ধ করে চাবি ফেলে দেন নদীর জলে৷ জানিয়েছেন পবন৷ টানা ২০ দিন এভাবেই নাকি সেতুর স্তম্ভের সঙ্গে বাঁধা ছিলেন তিনি৷ পুলিশকে বলেছেন পবন৷
আরও পড়ুন : মহাকাশ থেকে ফিরেই বিয়ে, ‘রুশ মহাকাশচারী প্রেমিক’-এর প্রতারণায় সর্বস্ব খোয়ালেন জাপানি প্রৌঢ়া
এমনকি, পুলিশ মুক্ত করার পরও আবার তিনি নিজেকে বেঁধে ফেলেন সেতুর স্তম্ভের সঙ্গে৷ আবার তাঁকে মুক্ত করা হয়৷ কেন বার বার এই বন্ধন? তাঁর জল দেখতে ভাল লাগে৷ পুলিশকে সহজ সরল উত্তর পবনের৷