এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই তরুণীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়ে দেয় অভিযুক্ত৷ এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই তরুণী৷ বিয়ের পিঁড়িতে বসার বদলে আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীর শরীরের ৬০ শতাংশ অংশই পুড়ে গিয়েছে৷ অ্যাসিডের প্রভাবে পুড়ে গিয়েছে তাঁর মুখ, ঘাড়, হাত৷
আরও পড়ুন: ৪৫ বছরের সংসার, চন্দননগরের গৃহবধূ পাকিস্তানের নাগরিক! গ্রেফতারির পর অবাক প্রতিবেশীরা
advertisement
এনডিটিভি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মউ জেলার আজমগড়ে৷ অভিযুক্ত যুবকের নাম রাম জনম সিং পটেল৷ তার সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে ওই তরুণীর পরিবার তাঁর অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে৷ এতেই ক্ষুব্ধ হয় তরুণীর প্রেমিক৷ অন্য কাউকে যাতে তার প্রেমিকা বিয়ে না করে, সেই জন্য চাপ দিচ্ছিল ওই অভিযুক্ত৷ কিন্তু তার পরেও পরিবারের পছন্দ অনুযায়ীই বিয়েতে মত দেন ওই তরুণী৷ আগামী ২৭ মে বিয়ে ঠিক হয় তাঁর৷ যেহেতেু ওই তরুণীর বাবার মৃত্যু হয়েছে এবং ভাইও ছোট, তাই বিয়ের আয়োজনও নিজে হাতেই সারছিলেন তিনি৷ সেই জন্যই গত বৃহস্পতিবার বিয়ের খরচ বাবদ কুড়ি হাজার টাকা তুলতে ব্যাঙ্কে যান ওই তরুণী৷ সেখান থেকে ফেরার পথেই ওই তরুণীর উপরে অ্যাসিড হামলা করে তাঁর প্রেমিক৷
প্রথমে আহত তরুণীকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে তাঁকে আজমগড়ের একটি বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে৷ আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি৷
এই ঘটনায় তরুণীর অভিযুক্ত প্রেমিক এবং তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও৷ অভিযুক্ত পুলিশের কাছে দাবি করেছে, তরুণীর পীঠে অ্যাসিড ছুড়তে চেয়েছিল সে৷ যাতে প্রেমিকার খুব বেশি ক্ষতি না হয়, কিন্তু তরুণীর বিয়ে বাতিল হয়ে যায়৷ যাতে সে তরুণীকে বিয়ে করতে পারে৷