পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম শিবকুমারী আহরিওয়ার, বয়স ৩৫। মহিলার স্বামীর নাম অরবিন্দ আহরিওয়ার, বয়স ৩৮। স্বামীর দেরি করে বাড়ি ফেরা নিয়ে ওই মহিলা প্রায় দিন ঝামেলা, অশান্তি করতেন। অরবিন্দ হলেন একজন নিত্যদিনের মজুরি শ্রমিক। কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে দেরি হত বলে তাদের মধ্যে হামেশাই তর্ক-বিতর্ক চলত। ওই দিন বিষয়টি আরও চরম আকার ধারণ করে। দেরি করে ফেরা নিয়ে রাতের বেলা দম্পতির মধ্যে খুব কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময় পরিবারের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও রাগে ফুঁসছিলেন শিবকুমারী। ভোর ৫টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় অরবিন্দের মুখে গরম তেল ঢেলে দেন তিনি। চিৎকারের আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্যরা সেখানে ছুটে আসেন এবং অরবিন্দকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যান।
advertisement
এরপরে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হয়। সমস্ত ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়। গোটা পরিবারের লোক যখন ঘুমোচ্ছিলেন তখন শিবকুমারী সহিংস পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। রাগেরও একটা সীমা থাকা উচিৎ। এমন রাগ করা কখনই উচিৎ নয় যেখানে অপর ব্যক্তির প্রাণের ঝুঁকি থেকে যায়।
গুরুতর ভাবে আহত অরবিন্দকে সাগরের বুন্দেলখন্ড মেডিক্যাল হাসপাতালে ট্রান্সফার করা হয়েছে। অন্য দিকে, অরবিন্দের ভাই জানিয়েছেন, এই ভয়াবহ অন্যায় কাজ করার জন্য শিবকুমারী অনুতপ্ত। সে ক্ষমা চেয়েছে।পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে। শিবকুমারী এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।