মঙ্গলবার মুম্বইয়ে শিল্প সম্মেলনে যোগ দিতে পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা। তিনি বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাণিজ্য শহরে পৌঁছে যাবেন বলে শোনা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, বিমানবন্দরে মমতাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকতে পারেন শিবসেনা ও এনসিপি দলের বিভিন্ন নেতারা. যাঁদের মধ্যে রয়েছেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সিদ্ধি বিণায়ক মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার কথা রয়েছে মমতার।
advertisement
আরও পড়ুন: সাংসদদের শাস্তিতেও দমছে না তৃণমূল, কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে আবার না
মঙ্গলবারই মমতার সাক্ষাৎ হতে পারে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও। যদিও উদ্ধবের শারীরিক কিছু অসুস্থতা রয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, দেখা করতে আগ্রহী দু’পক্ষই, সেই কারণে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া মমতার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও। বুধবার, অর্থাৎ ডিসেম্বর পয়লায় হতে পারে সেই বৈঠক। সব মিলিয়ে শিল্প আনার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের বিজেপি বিরোধী শিবির নির্মাণের সমীকরণ তৈরির কাজও কিছুটা এগিয়ে রাখতে চাইছেন মমতা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দেখানো পথেই বাকিরা? কংগ্রেসের বৈঠক এড়ালো জোটসঙ্গী শিবসেনাও
তবে মমতার মূল কর্মসূচি ওয়াইপিও-এর সম্মেলনে যোগ দেওয়া। সেখানে মমতাকে বক্তব্য রাখতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর সেই সম্মেলন রয়েছে। সেখানেই দেশের তাবড় শিল্পপতিদের সামনে বক্তব্য রাখবেন মমতা। এপ্রিলেই রাজ্যে বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন রয়েছে। তার আগে শিল্পপতিদের আহ্ববান জানাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা। সেই কর্মসূচির মধ্যেই পড়ছে ওয়াইপিও-এর সম্মেলনে যোগদান। এই সম্মেলনের বক্তব্যে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবেন মমতা। মমতার সঙ্গে এই সফরে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, শিল্পসচিবরাও। এ ছাড়া সঙ্গে থাকছে একটি শিল্প প্রতিনিধি দল। যাতে রয়েছেন হর্ষ নেওটিয়ার মতো প্রথম সারির শিল্পপতিরা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়