গত বছর কলকাতা ইসকনের রথযাত্রার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ ছিল। করোনার কারণে কোনও অনুষ্ঠান করা যায়নি। এ বার সেই উৎসব হবে। আমেরিকা, রাশিয়া, লন্ডন, সিঙ্গাপুর-সহ দেড়শটি দেশ থেকে ইসকনের ভক্তেরা আসবেন। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা উৎসবে সামিল হতে। কলকাতা ইসকন রথযাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে। ২০২১ সাল ছিল সুবর্ণজয়ন্তী। সেই উৎসব ২০২২ সালে ধুমধামের সঙ্গে পালিত হবে। ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত মাসির বাড়ি তৈরি হবে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে।
advertisement
আরও পড়ুন- ২০২৪-এ তৃণমূলের নজর উত্তরপূর্বে! মেঘালয়ে সদস্য সংগ্রহের সূচনা করলেন অভিষেক
১ জুলাই পাহান্ডি বিজয় দিয়ে সকালে উৎসবের সূচনা। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শুরু হবে এই পাহান্ডি বিজয় পর্ব। জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রা, এই তিন দেবতাকে নিয়ে কলকাতার ইসকনের মন্দির থেকে রথে তোলা হবে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এর পর সকাল দশটায় সেই রথ-এর সামনে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বেলা দুটো নাগাদ আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। রথের সামনে করবেন আরতি। তারপর রথের রশিতে টান। মুখ্যমন্ত্রী রথ যাত্রার সূচনা করতেই রথের চাকা গড়াবে। অ্যালবার্ট রোড থেকে শুরু হয়ে হাঙ্গার ফোর্ড স্ট্রিট, মিন্টো পার্ক, এজেসি বোস রোড, শরৎ বোস রোড, হাজরা রোড, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড, আশুতোষ মুখার্জী রোড, চৌরঙ্গী রোড, এক্সাইড মোড়, জওহরলাল নেহেরু রোড, এবং আউট্রাম রোড হয়ে একেবারে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৈরি হওয়া মাসির বাড়িতে।
আরও পড়ুন- "আপনি এখন সংখ্যালঘু": মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে স্পষ্ট বার্তা রাজ্যপালের
এখানেই ৮ জুলাই পর্যন্ত হবে পুজো ও আরতি অনুষ্ঠান প্রায় ১৬ লক্ষ ভক্তের আনাগোনা হতে পারে বলে অনুমান। ইসকনের ভক্তরা রয়েছেন প্রায় দেড়শটি দেশে। বিশ্বের নানা প্রান্তে ১৫০টি দেশে রয়েছে ইসকনের মন্দির। সেখান থেকে ইতিমধ্যেই বেশকিছু ভক্ত আসা শুরু করে দিয়েছেন। ইসকন মন্দিরের উপ-অধিকর্তা অনঙ্গমোহন দাস বলেন, ইতিমধ্যেই আমেরিকা লন্ডন, সিঙ্গাপুর এবং রাশিয়া থেকেও প্রায় ২৭২ জন ভক্ত চলে এসেছেন রথযাত্রা উৎসবে যোগ দিতে। বিদেশি এবং দেশি ভক্তদের সমাগমে ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড কার্যত গমগম করবে। বেলা ৩:৩০ থেকে রাত নটা পর্যন্ত জগন্নাথ দর্শন এবং খিচুড়ি প্রসাদ দেওয়া হবে ভক্তদের।