আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ি থেকে হেলিকপ্টারে সরাসরি পৌঁছবেন রাজাবালা। সভা শুরু হবে বেলা ১ টায়। মেঘালয়ে ভোট ঘোষণার দিনেই জানুয়ারি মাসে বিশাল জনসভা করেছেন গারো পাহাড়ের মেন্দীপাথারে। তারও আগে শিলংয়ে রাজনৈতিক সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি করেছেন। এবার প্রচার সভা হচ্ছে পশ্চিম গারো হিলসের রাজাবালায়।
আরও পড়ুন: প্যাকেট খুলতেই পচা দুর্গন্ধ, মুখে তোলাই দায়! শিলিগুড়িতে মমতার সভায় বিরিয়ানি বিতর্ক
advertisement
তুরা লোকসভার অন্তর্গত রাজাবালার নেকিকোনা তিলাপাড়া ফিল্ডের মাঠে এই সভা হবে। গত কয়েকদিন টানা মেঘালয়ে পড়ে থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে বেশ কয়েকটি রোড শো ও জনসভা করেছেন। দলীয় সূত্রে খবর, তাতে উপচে পড়েছে ভিড়। মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে খুশি তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। মেঘালয়ের একেবারে প্রত্যন্ত জায়গা হল এই রাজাবালা।অসম সীমানা লাগোয়া এই জায়গা তুরা টাউন থেকে ২ ঘণ্টা, গুয়াহাটি শহর থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টার দূরত্বে।
আরও পড়ুন: মমতার হুঁশিয়ারির পরেও অনশন, বনধে অনড় বিনয়রা! ফের তপ্ত হবে পাহাড়?
রাজাবালা বিধানসভায় প্রচুর সংখ্যালঘু মানুষের বসবাস। পাশের বিধানসভা ফুলবাড়িও তাই। ইতিমধ্যেই এই এলাকায় ভোট প্রচারে সারাক্ষণ ব্যস্ত রয়েছে জোড়া ফুল শিবির৷ গোটা রাস্তা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক বড় বড় ছবি, ব্যানার, পোস্টার। বিভিন্ন মোড়ে মুকুল সাংমা বনাম কনরাড সাংমার প্রচারের ছবি মুখোমুখি। এই এলাকায় কৃষক, মৎস্যজীবী মানুষেরাও থাকেন। এই প্রত্যন্ত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস জোর দিয়েছে বাংলার উন্নয়নের মডেল তুলে ধরতে। তাই এখানেও প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ধাঁচে উই কার্ড, বেকারদের জন্য মাই কার্ডের উপরে।
রাজাবালা, ফুলবাড়ি সহ একাধিক জায়গা আছে যেখানকার ব্যবসায়ীরা নির্ভরশীল হয়ে থাকেন কলকাতার বড়বাজার, মেটিয়াবুরুজ, হাওড়ার হাটের উপরে। তাই বাংলার মডেলকে এখানে প্রচারে তুলে ধরছে তৃণমূল কংগ্রেস।