পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দির হল দেশের একমাত্র মন্দির, যেখানে ব্রহ্মার আরাধনা করা হয়। সেই মন্দিরেই গতকাল, মঙ্গলবার পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ পুষ্করে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরের গর্ভগৃহে তিনি পুজো দেন। সেই সঙ্গে আরতিও করেন। এর পাশাপাশি তিনি ঘুরে দেখেন আশেপাশের বেশ কয়েকটি মন্দির।এরপর তিনি যান ব্রহ্মা-সাবিত্রী ঘাটে। সেখানে প্রায় আধ ঘণ্টা তিনি ছিলেন। সেখানে বিশেষ পুজো-পাঠে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : পুষ্কর মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা, সারলেন আরতিও
এদিন সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও তাঁর স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে পুজো করান কৃষ্ণগোপাল বশিষ্ঠ। ব্রক্ষ্মা-সাবিত্রী ঘাটে পুজো করান হরগোপাল পরাশর। দু'জনকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ জানালেন গঙ্গাসাগর মেলায় আসার জন্য।পুষ্করেও বছরে একবার মেলা হয়৷ সারা বিশ্ব থেকে মানুষ আসেন সেই মেলা দেখতে। একই রকম ভাবে পৌষ সংক্রান্তিতে বাংলায় হয় গঙ্গাসাগর মেলা। সেখানেও সারা দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন। বর্তমানে এই মেলার আয়োজনকে ঘিরে ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ফের টাইব্রেকার আটকে গেল স্পেনের স্বপ্ন, কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছে ইতিহাস মরক্কোর
দুটি ক্ষেত্রেই অদ্ভুত যোগাযোগ আছে। হিন্দুদের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র আজ সর্বধর্ম সমন্বয়ের স্থান হয়ে গিয়েছে৷ তাই পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরের পুজারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি দুই প্রধান পুজারী কৃষ্ণগোপাল বশিষ্ঠ ও হরগোপাল পরাশর। দু'জনেই জানিয়েছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জন্য বিশেষ উপহার এনেছেন। আমরা খুশি হয়েছি৷ ওনাকে পুষ্কর মেলায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি৷ আমরাও গঙ্গাসাগর মেলায় যেতে চাই।"