মুম্বই বৈঠকে ঠারেঠোরে ফের একতার বার্তা দিচ্ছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস। অন্তত মুম্বই বৈঠকের প্রতি মুহূর্তে ধরা পড়েছে সেইরকমই ছবি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের যে পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক হয়, সেখানে বৈঠক শেষের পরে দেখা যায় একসাথে হাসতে হাসতে বেরিয়ে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সনিয়া গান্ধি। বৈঠকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আগাগোড়া বসে ছিলেন রাহুল গান্ধি। তার পাশে ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি।
advertisement
সূত্রের খবর, নৈশভোজেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন রাহুল গান্ধি। তাঁর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা যায় সনিয়া গান্ধিকেও। তবে মুম্বই বৈঠকের আয়োজনের শুরুতেই ছিল আরও বড় চমক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস উভয়েই তাদের এক্স (বা ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে একে অপরের ছবি পোস্ট করেছেন। কংগ্রেস তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। আর তৃণমূল কংগ্রেস পোস্ট করেছে রাহুল গান্ধির ছবি।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় বিভিন্ন ইস্যুতে, বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রিক ইস্যুতে যেভাবে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে থাকা প্রদেশ কংগ্রেস তীব্র আক্রমণ চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে নবান্নে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও যোগ দেয়নি প্রদেশ কংগ্রেস৷ সেখানে মমতা আর রাহুলের ছবি পারস্পরিক ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট নিয়ে আগ্রহ দানা বেঁধেছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক নেতা জানিয়েছেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেও দীর্ঘ সময় কথা বলতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
অনেকেই মনে করছেন, মুম্বই বৈঠক থেকে সামনে আসতে পারে একটা সমন্বয় কমিটি। ঘোষণা হতে পারে প্রচার কমিটির। তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার প্রচার কমিটিতে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে দ্বিতীয় প্রজন্ম বা যুবদের। সেক্ষেত্রে, গুরুত্ব পাবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ,তেজস্বী যাদব, আদিত্য ঠাকরে, রাঘব চাড্ডার মতো নেতারা।
শুক্রবার প্রধান বৈঠকেও কংগ্রেস-তৃণমূলের পারস্পারিক বোঝাপড়াতেই সকলের নজর। তবে বাংলার লোকসভা আসনে কত আসন একে অপরকে দিয়ে রাখবে সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।