সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠক হয়েছে খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহে। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "জি ২০ বৈঠকের ব্যাপারে সবরকম সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। ব্যক্তিগতভাবে সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিকবার নানান আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। ফলে কী ভাবে এই ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে সেই অভিজ্ঞতা আছে।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জি ২০ এর সম্মেলন হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। তার আগে দেশের মোট ৫০টি শহরে ২০০টি বৈঠক হবে। কলকাতায় তিনটি এবং শিলিগুড়িতে একটি বৈঠক হবে।
advertisement
আরও পড়ুন, ২১০০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতি! আদালতে জানালেন সিবিআই SIT প্রধান অশ্বিন শেনভি
এ দিনের বৈঠকে ৪০ জন রাজনৈতিক নেতার মধ্যে ১৫ জন বক্তব্য রেখেছেন। তাঁদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন টিডিপির চন্দ্রবাবু নাইডু, ডিএমকের এমকে স্ট্যালিন, ওয়াইএসআরসিপি-র জগমোহন রেড্ডি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এ দিনের বৈঠকের ফাঁকেই বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গেও সৌজন্যে সাক্ষাৎ হয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন প্রথম দিনের জি ২০ শেরপা বৈঠক হয়। রাজস্থানের উদয়পুরে বৈঠকে যোগ দেন জি ২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে প্রাক্তন বিদেশ সচিব এবং জি ২০ এর আহবায়ক হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, " আজ জি ২০ শেরপাদের প্রথম দিনের বৈঠক হয়। সেখানে ভারতের প্রেসিডেন্সি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে প্রতিনিধিরা ভারতীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়া উপভোগ করেছেন।" বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, "প্রথম দুটি পর্বে প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং সবুজের উন্নয়ন ও পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক অর্থনীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।" বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বৈঠকে উপস্থিত জি২০ গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে একটি ঘরোয়া চায়ে পে চর্চা ও হয়।"
রাজীব চক্রবর্তী