যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী যে দল শক্তিশালী, তার হাত শক্ত করার ফর্মুলাতেই জোর দিচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী৷ লক্ষ্য একটাই, যাতে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ না হয়৷ ঠিক যেমন হয়েছিল বাংলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে৷
গোটা দেশেও এই ফর্মুলাই প্রয়োগ করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা করেই এগোতে চান তিনি৷ ইতিমধ্যেই অন্যান্য রাজ্যে নিজেদের সংগঠন বিস্তারের লক্ষ্য নিয়েছে তৃণমূল৷ তার মানে এই নয় যে উত্তর প্রদেশেও সব কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে বিজেপি-কে প্যাঁচে ফেলার স্বপ্ন দেখছে তারা৷ বরং উত্তর প্রদেশে যে দলগুলি শক্তিশালী, সেই সমাজবাদী পার্টি বা মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টিকে যাতে অন্যান্য দলগুলি সমর্থন জুগিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনতে পারে, সেই পরিকল্পনার কথাই শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে৷ এ দিন সনিয়া এবং রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠক শেষেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'বিজেপি-কে হারাতে সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে৷ '
advertisement
আর সেই লক্ষ্যেই উত্তর প্রদেশে গিয়ে প্রয়োজনে বিজেপি বিরোধী অন্যান্য দলের সমর্থনেও প্রচার করতে রাজি মুখ্যমন্ত্রী৷ আর উত্তর প্রদেশে গেলে বারাণসীই মমতার প্রথম পছন্দ৷ তার প্রধান কারণ বারাণসীর সাংসদের নাম নরেন্দ্র মোদি৷ দ্বিতীয়ত, বারাণসীতে ভাল সংখ্যক বাঙালি ভোটার রয়েছে৷ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর দেশজুড়ে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি-র বিরোধিতায় প্রধান মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিরোধী জোটও তাঁকে কেন্দ্র করেই একত্রিত হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে অবশ্য এ দিনও বলেছেন, তিনি নেতা হতে চান না, বরং তিনি একজন সাধারণ কর্মী বা ক্যাডার হিসেবেই বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে জোটবদ্ধ করতে চান৷
মুখে এ কথা বললেও মমতা ভাল ভাবেই জানেন, নিজের দলের হয়ে না হলেও বিজেপি বিরোধী অন্য যে কোনও দলের হয়ে তিনি দেশের অন্যান্য প্রান্তে প্রচারে গেলেও বিজেপি-র কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে৷ এবারের দিল্লি সফরে তৃণমূলনেত্রী বুঝিয়ে দিচ্ছেন, বিজেপি-কে রুখতে বিরোধী দলগুলিকে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করতে তিনি তৈরি৷
