প্রসঙ্গত, এদিনই গোয়ায় যাচ্ছেন রাহুল গান্ধি। তার আগে অবশ্য কংগ্রেস-বিজেপি-কে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ''এখানে কংগ্রেস-বিজেপি আপোষ করে, সমঝোতা করে। কিন্তু, আমরা চাই না ভোট ভাগাভাগি হোক। কংগ্রেস আমাকে আক্রমণ শানাচ্ছে। আমি কি ওদের ফুল দেব? আমরা গোয়ার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আর গোয়ার মানুষ সেই সুযোগ দেবেন।'' রাজনৈতিক মহলের মতে, এই মন্তব্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, অন্তত গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যাবে না তৃণমূল।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতে সময় নেই, 'ঘর' ভাঙছে তৃণমূল! ঘুরে দাঁড়াতেই আজ সৈকত শহরে রাহুল গান্ধি?
সম্প্রতি গোয়াতেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেন, ''আগামী কয়েক দশক ভারতীয় জনতা পার্টি ভারতীয় রাজনীতিতে অন্যতম মূল ভিত্তি হয়ে থাকবে এবং বেশ কিছু দশক ধরে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।'' আর প্রশান্তের সেই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। স্বাভাবিক কারণেই সেই প্রসঙ্গটি এদিন উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে। মমতা অবশ্য এদিন বলেন, ''প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে। ও বলতে চেয়েছে বিজেপি-কে হটাতে একজোটে লড়তে হবে। যেভাবে কংগ্রেস লড়াই করছে, সেভাবে হবে না।'
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণ ছাড়া আর ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু নয়, আয়কর আবাসনে তৈরি হল ইকো অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোয়ার সঙ্গে বাংলার সাদৃশ্যের কথা বারবার তুলে ধরেছেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ''বাংলার সঙ্গে গোয়ায় অনেক মিল। আপনারা ফুটবল ভালোবাসেন, আমরা বাংলার মানুষও ফুটবল ভালোবাসি। আপানারা মাছ পছন্দ করেন খুব, আর আমরা বাঙালিরাও মাছ পছন্দ করি। আপনাদের পছন্দ লোকসংগীত, আমাদেরও তাই। শুধু বাংলার সঙ্গে গোয়ার একটাই তফাৎ। এখানে বিজেপি মানুষের মনে বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সেটাই গোয়ার মানুষকে রুখে দিতে হবে।'' মমতার সংযোজন, 'বাংলা এখন অত্যন্ত শক্তিশালী একটি রাজ্য৷ আমরা চাই গোয়াও সেরকম শক্তিশালী হয়ে উঠুক, গোয়ায় নতুন ভোর আসুক৷' বিজেপি-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, 'আমি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হতে আসিনি৷ কিন্তু দিল্লির দাদাগিরি আর চলবে না গোয়ায়৷''