যদিও বিরোধিতার পথেই রয়েছে তৃণমূল। লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”আমাদের দাবি, মহুয়াকে বলতে দিতে হবে। অন্য দলের নেতাদের বলতে দিতে হবে। এছাড়া মহুয়া ইস্যুতে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ ধরনা সত্যাগ্রহ হবে।” তবে ভোটাভুটির পথে যাওয়া নিয়ে বিরোধী শিবিরে দ্বিমত রয়েছে। কারণ বিজেপির সংখ্যা অনেক বেশি।
প্রসঙ্গত, গতকালই তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানিয়েছিলেন, আজই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ কাণ্ডে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট লোকসভায় পেশ করা হবে৷ রিপোর্ট পেশ করবেন বিজেপি সাংসদ বিনোদ কুমার সোনকার এবং অপরাজিতা সারেঙ্গি৷ রিপোর্ট পেশ হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে তিনি বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চান বলেও সুদীপকে জানিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ৷ যদিও কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ”নতুন সংসদে নতুন কলঙ্কের অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। মহুয়া এমন কিছু করেননি যে তাঁকে বরখাস্ত করতে হবে। তাঁকে সতর্ক করা যেত, তাঁর আচরণের নিন্দা করা যেত, কিন্তু বহিষ্কার করার মতো কিছু নেই।”
আরও পড়ুন: বাড়ল শ্বাসকষ্ট, অবস্থার অবনতি! ICU-তে স্থানান্তরিত করা হল মদন মিত্রকে!
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য পেশ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় চাওয়া হয়েছে৷ মহুয়া মৈত্র যাতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান, সেই দাবিও জানিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা৷ তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, মহুয়া মিত্রের বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে আজ ফের উত্তাল হবে লোকসভা৷
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার খোয়ানোর পরই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হাসপাতালে ভর্তি কেসিআর!
ইতিমধ্যেই আজ দলের সব সাংসদকে লোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করেছে বিজেপি৷ সরকারের প্রস্তাবগুলিকে পাস করানোর দলীয় সাংসদদের সমর্থন নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল৷ এর মধ্যে অন্যতম অবশ্যই মহুয়া মৈত্রের বহিষ্কারের সুপারিশ করে আনা সরকারের পক্ষের প্রস্তাব৷ ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডের অভিযোগের তদন্তে নেমে মহুয়া মৈত্রকে দোষী সাব্যস্ত করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি৷ মহুয়ার বিরুদ্ধে দামি উপহার নিয়ে শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ ওঠে৷ মহুয়া অবশ্য প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পাল্টা অভিযোগ এনেছেন৷
গত ৪ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট লোকসভায় পেশ হওয়ার কথা ছিল৷ যদিও শেষ মুহূর্তে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়৷