হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরেই ঘটনার শুরু। প্রসঙ্গত সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতেই হাথরস পৌঁছেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা। তারই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে যেখানে দেখা যায় একজন লোক রেখা শর্মার পিছনে ছাতা ধরে হাঁটছেন। যা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হন নেটিজেনরা। সেখানেই মহুয়া মন্তব্য করেন, ‘তিনি তাঁর বসের পাজামা ধরতে ব্যস্ত।’ মহুয়ার এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক।
advertisement
অভিযোগ ওঠে একজন মহিলা ও জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধানকে নিয়ে ‘অপমানজনক’ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ। এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লি পুলিশেও অভিযোগ জানায় জাতীয় মহিলা কমিশন। কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার কথাও বলা হয়।
যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকে পাল্টা নিশানা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মহিলা কমিশনের বার্তা তুলে ধরেই মহুয়া লেখেন, ‘দিল্লি পুলিশ আসুন অবিলম্বে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। যদি তিনদিনের মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করতে চান, তাহলে নদিয়ায় আসুন। এখন আমি নদিয়াতেই রয়েছি।’ একইসঙ্গে কটাক্ষের সুরে তিনি লেখেন, ‘আমি আমার নিজের ছাতা নিজে ধরতে পারি।’