ঝাড়খণ্ডে কৃষি মন্ত্রী বাদল পত্রলেখের (Badal Patralekh) নেতৃত্বে এবং ঝাড়খণ্ডের কৃষি ও পশুপালন বিভাগের সহযোগিতায় এই বিষয় নিয়ে পরের পর পর্যালোচনা সভা হয়েছে। ম্যারাথন সভার পরে কৃষিমন্ত্রী বাদল পাত্রলেখ বলেছিলেন যে রাজ্য প্রথম বাজেট নিয়ে এসেছে, এই পরিস্থিতিতে বিষয়গুলি নিয়ে তদারকি করা দরকার।
মন্ত্রী ২০২০-২০২১ সালে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলির বাস্তব ও আর্থিক কৃতিত্ব সম্পর্কে বিশদ বিবরণে যান। ২০২০-২১ বছরের জন্য পিএল অ্যাকাউন্টে কত পরিমাণ ট্রান্সফার করা হয়েছে, সেই পরিমাণটি দ্রুত ব্যয় করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত আধিকারিককে এপ্রিলের শেষের দিকে পিএল-এ আমানতের ২০%, মে মাসে ৪০% এবং জুনে ৪০% ব্যয় করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
এই অ্যাকশন প্ল্যানটি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সমস্ত আধিকারিকদের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে এই সংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য পর্যায়ে পশুপালন হাসপাতাল নির্মাণেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শতাধিক ভেটেরিনারি হাসপাতালকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুমকা বাসুকিনাথে ৩টি মোবাইল ভেটেরিনারি অ্যাম্বুলেন্স, দু'টি ষাঁড় প্রকল্প, পশুর আশ্রয় সহ একটি পশু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জামশেদপুর, গিরিডি ও রাঁচিতে দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির জন্য নতুন ৫0000 লিটার ক্ষমতার দুগ্ধ প্লান্ট স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাঁচিতে গুঁড়ো দুধের কেন্দ্র স্থাপন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ভেটেরিনারি যানবাহন এবং পশুপালন কল সেন্টারগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থাপন করতে বলা হয়েছে। পশুপালন বিভাগের পরিচালককে গবাদি পশুর বিমা সংক্রান্ত প্রকল্পের খসড়া প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যকে মাছের বীজ উৎপাদন স্বয়ংসম্পূর্ণ করার দিকে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন যে অভিযোগ আসছে কৃষকদের নেওয়া ঋণ শোধ করছেন ফড়ে বা মিডলম্যানরা। এটা কৃষি বিভাগ ও ব্যাঙ্ক বরদাস্ত করবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। বরং যারা কঠোর পরিশ্রম করবেন তাঁদের সম্মান জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।