পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিশা রামটেকে (৩০) এবং চন্দ্রসেন রামটেকে (৩৮) বিয়ে করেন ১৩ বছর আগে৷ তাঁদের দুই মেয়ে এবং ছ’ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বছর দুয়েক আগে, চন্দ্রসেন পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন৷ এর পর থেকে তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে দিশা সংসার চালানোর জন্য জলের ক্যান বিক্রি করতে শুরু করেন।
advertisement
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিয়ের সময়, চন্দ্রসেন প্রায়ই স্ত্রী দিশার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতেন৷ যার ফলে তাঁদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। দু’ মাস আগে, দিশার সঙ্গে মেকানিক আসিফ ইসলাম আনসারি ওরফে রাজাবাবু টায়ারওয়ালার পরিচয় হয় এবং শীঘ্রই তাদের সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয়।
আসিফের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর এই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন চন্দ্রসেন৷ ফলে দম্পতির সাংসারিক জীবন আরও তিক্ত হয়ে ওঠে৷ এর পরই দিশা এবং আসিফ চক্রান্ত করে চন্দ্রসেনকে খুন করার। তদন্তে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে যখন চন্দ্রসেন বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন, তখন দিশা ডেকে পাঠান আসিফকে। দিশা যখন তার শয্যাশায়ী অথর্ব স্বামীকে চেপে ধরেন, তখন আসিফ তাঁর মুখে বালিশ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে রাখেন যত ক্ষণ না তিনি মারা যান।
কয়েক ঘণ্টা পর, চন্দ্রসেনকে তার বাড়িতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। স্বামীর মৃত্যুকে দিশা প্রথমে ‘স্বাভাবিক’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে জানা যায়। পরে, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে অপরাধ স্বীকার করে।