ত্রিম্বকেশ্বর তালুকের দেবগাঁওয়ে মেয়েদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক আশ্রম বিদ্যালয়ের পড়ুয়া এই ছাত্রী। আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অতিরিক্ত কমিশনার সন্দীপ গোলাইত বলেন, “মেয়েদের ক্লাসের পড়ুয়ারা, শিক্ষক, সুপারিনটেনডেন্ট এবং অধ্যক্ষ সহ সকলের বক্তব্য নেওয়া হবে এবং তদন্ত করা হবে।”
আরও পড়ুন- মুখের লোম নিয়ে নেই আক্ষেপ, সমাজের 'ব্যঙ্গ'কে উড়িয়ে গোঁফ রাখলেন এই মহিলা!
advertisement
বুধবার, নাসিক জেলার অতিরিক্ত কালেক্টর এবং টিডিডি প্রকল্প আধিকারিক বর্ষা মীনা স্কুলে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করে তাঁর সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করেন। ছাত্রীর অভিযোগে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে স্কুলের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বৃক্ষরোপণ অভিযানের সময় ঋতুস্রাব হওয়া মেয়েদের গাছ লাগানো থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন ওই শিক্ষক। বিদ্যালয়টিতে ছাত্রী সংখ্যা ৫০০।
গত বছর পিরিয়ডসের সময় লাগানোর কারণে রোপণ করা চারা বড়ো না হওয়ায় ওই শিক্ষক ছাত্রীদের গাছের কাছে যেতে বারণ করেন। অভিযোগে ছাত্রী জানিয়েছেন, তিনি গাছ লাগাতে পারেননি। স্কুলে এই আচরনের শিকার হয়ে শ্রমজীবী সংগঠনের নাসিক জেলা সম্পাদক ভগবান মাধের কাছে যান ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন- "২০২৪-এ বিজেপি আসবে না, আসবে না, আসবে না": চরম চাপেও ভবিষ্যদ্বাণী মুখ্যমন্ত্রীর
মাধে জানান, ওই ছাত্রী শিক্ষকের বিরোধিতা করতে পারেননি কারণ তিনি ছাত্রীটির ক্লাস শিক্ষক এবং তাঁকে হুমকিও দিয়েছিলেন যে মূল্যায়নের ৮০ শতাংশ নম্বর স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকে। মাধে জানান, তিনি ২৬ জুলাই মেয়েটির সঙ্গে নাসিকের আদিবাসী বিকাশ ভবনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
“শিক্ষক অভিযোগকারী এবং অন্যান্য মেয়েদের কটূক্তি করতেন। স্কুলে ছাত্রীদের অন্যান্য অভিযোগও রয়েছে যেমন স্নানের জন্য গরম জল মেলে না এবং ঘুমানোর জন্য ম্যাট্রেস নেই। এছাড়াও স্কুল ভর্তির সময় প্রস্রাব গর্ভাবস্থা পরীক্ষা (Urine Pregnancy Test) বাধ্যতামূলক করেছে। যদিও এমন কোনও নিয়মই নেই। এই পরীক্ষার খরচ শিক্ষার্থীদের বহন করতে বাধ্য করা হয়েছে,” পিটিআইকে বলেন তিনি।