এখন রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতির নজর শরদ পাওয়ারের দিকে ৷ তবে কি কংগ্রেসের সঙ্গে মসনদে বসবে এনসিপি ৷ সেক্ষেত্রে তাদেরও দরকার আরও সমর্থন ৷ মহারাষ্ট্র বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার ১৪৫ ৷ বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ১০৫টি আসন৷ অন্যদিকে শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪ এবং কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৪৪টি আসন ৷ সূত্রের খবর, অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যায় NCP৷ দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্যপালের সরকার গঠনের আমন্ত্রণ তাদের কাছে সরকারীভাবে পৌঁছলেই তারা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ৷ সোমবার সকালে দিল্লিতেও সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতারা। দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে আলোচনা। সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক সেরে মহারাষ্ট্রের জন্য রওনা দেবে আহমেদ পটেল, খাড়গেরা।
advertisement
১১ নভেম্বর সন্ধে ৭:৩০টা ছিল শিবসেনাকে দেওয়া রাজ্যপালের সময়সীমা ৷ সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির কাছে এনসিপি এর সঙ্গে জোট গড়ে আদিত্য ঠাকরে ও একনাথ শিন্ডে পৌঁছান ৷ রাজভবনে পৌঁছনোর পরেও শেষ হল না সরকার গঠনের নাটক ৷ সময় শেষের এক মিনিট আগে কংগ্রেসের চিঠি পৌঁছলেও তাতে সমর্থনের ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু বলা ছিল না ৷ চিঠিতে কংগ্রেসের বক্তব্য, এব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য তারা এনসিপির সঙ্গে আরও খানিকটা আলোচনা করতে চায় ৷ উল্লেখ্য, সরকার গড়তে শিবসেনার প্রয়োজন ছিল মোট ১৪৫ জন বিধায়ক ৷সরকার গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করে শিবসেনা চিঠি লিখে রাজ্যপালের কাছে আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় চাইলেও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় ৷ এরপরই সরকার গঠনের জন্য ডাক যায় NCP-এর কাছে৷