আরও পড়ুন- সাপ, টিকটিকি, কাঁকড়া, মাছের নামকরণ হয়েছে উদ্ধব পুত্রের নামে! কে তেজস ঠাকরে?
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এক সূত্র জানিয়েছে, অন্তত দু’টি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদির ফোন পাওয়ার পরেই উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ট্যুইটারে দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে আবেদন করেছিলেন।
advertisement
দলের একজন শীর্ষ নেতা এএনআইকে বলেন, “দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি এবং কেউই জানত না যে তিনি ঘোষণা করে দেবেন যে তিনি সরকারের অংশ হবেন না।” সূত্রের খবর, এই ঘোষণা করার পরেই তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতেও বলা হয়েছিল।
“দেবেন্দ্র ফড়নবিস একজন শীর্ষস্থানীয় প্রশাসক এবং একজন ন্যায়পরায়ণ নেতা, তাই তিনি নতুন সরকারের এক বিশাল সম্পদ হতে পারতেন। যে মুহূর্তে দল বুঝতে পেরেছিল যে তিনি এক অদ্ভুত ঘোষণা করেছেন তাঁকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছিল,” জানিয়েছে এক সূত্র।
আরও পড়ুন- মণিপুরে বীভৎস ভূমিধ্বস! ১৮ জন সেনা সহ মৃত ২৪! মাটির নীচে আটকে আরও বহু প্রাণ!
“দেবেন্দ্র একজন অনুগত পার্টি ক্যাডার, অনেক নীচ থেকে এই পদে উঠে এসেছেন তিনি এবং তাই তিনি দলীয় শৃঙ্খলা বোঝেন,” এএনআইকে বলেন দলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। দেবেন্দ্র ফড়নবিসের ভূয়সী প্রশংসা করেছে দলের নানা সূত্র। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসাবে তাঁর নেতৃত্বের কারণেই সম্প্রতি তৃতীয় রাজ্যসভার আসনে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছে দল এবং রাজ্যে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা সরকারের বিরুদ্ধেও এক বিশাল অভ্যুত্থান ঘটাতে পেরেছে দল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রের বিংশতম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীস উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। অন্যান্য রূপরেখা স্থির করা এবং মন্ত্রিত্ব ঘোষণা করা এখনও বাকি। যদিও এরই মধ্যে, রাজ্যে মন দিতে হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীস।
