এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সমাজকর্মী দত্তাত্রেয় নারায়ণ ওরফে আপ্পাসাহেব ধর্মাধিকারীকে মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছিল, আর সেই উপলক্ষে সেখানে হাজির হয়েছিলেন তাঁর লক্ষাধিক অনুগামী। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সরাসরি অমিত শাহের হাত থেকেই মহারাষ্ট্র সরকারের এই পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ধর্মাধিকারী।
অনুষ্ঠানের জন্য সকাল থেকেই খোলা ময়দানে জড়়ো হতে শুরু করেছিলেন মানুষ। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, উপস্থিত লক্ষাধিক মানুষের বসার জন্য কোনও ছায়াযুক্ত জায়গার ব্যবস্থা ছিল না। এই তপ্ত রোদে, লু-এর মধ্যে, খোলা আকাশের নীচে কোনও ছায়া ছাড়াই বসেছিলেন ওঁরা। এই ভয়ানক গাফিলতির জন্যেই জলজ্যান্ত ৮টি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন মৃতদের আত্মীয়েরা।
আরও পড়ুন:‘গোটা মামলাটাই ভুয়ো’, টানা ৯ ঘণ্টা CBI-এর জিজ্ঞাসাবাদের পরে বিস্ফোরক অরবিন্দ কেজরিওয়াল
আরও পড়ুন: চাঁদি ফাটা রোদ, সঙ্গে হাঁসফাঁস গরম! রাজ্য়ের ১৭ জেলায় ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল তাপমাত্রার পারদ
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত রাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “ঘটনা চলাকালীনই মোট ১২৩ জন ডিহাইড্রেশনের মতো অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁদের অবিলম্বে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা ৩০টি মেডিক্যাল বুথে রেফার করা হয়। ১৩ জন রোগী, যাঁদের আরও চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল, তাঁদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় এবং তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। মেডিক্যাল বুথে মোট ৩০ জন ডাক্তার মোতায়েন করা হয়েছিল। সেখানে আইসিইউ-র সুবিধা ছিল।"
এই বিষয়ে একনাথ শিণ্ডের সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এনসিপি নেতা সুরজ চহ্বাণ। তাঁর দাবি, ‘সরকারের অবহেলার’ কারণেই এতগুলো নিরীহ মানুষ মারা গেলেন। তাঁর ট্যুইট, “রোদের মধ্যে মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার অনুষ্ঠান! সরকারের অবহেলার কারণেই কতগুলো নিরপরাধ মানুষকে অকালে চলে যেতে হল। সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যার মামলা করা উচিত।"