সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটেছে ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪:৩০ মিনিটের সময়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ হাসান, যিনি ওই মাদ্রাসার হোস্টেল ইনচার্জের ছেলে। সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১১ বছরের এক শিশুকে নির্মমভাবে মারধর করে। গোটা ঘটনাটি মাদ্রাসার ঘরে লাগানো CCTV ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যায়। শিশুটির মা যখন ঘটনার কথা জানতে পারেন, তখন তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
advertisement
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মোহাম্মদ হাসান শিশুটিকে ঘরে ডেকে নিয়ে আসে এবং হঠাৎ করেই তার চুল ধরে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু ছাত্র ওই ঘরে চাল ছড়িয়ে দিয়েছিল। হাসান তখন সমস্ত শিশুদের সেই চাল পরিষ্কার করতে বলে। কিন্তু নির্যাতিত শিশু জানায়, চাল সে ফেলেনি, তাই পরিষ্কার করবে না। তার এই কথা শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে হাসান এবং বেধড়ক মারধর শুরু করে।
অভিযুক্ত হাসান শিশুটির চুল ধরে টেনে নিয়ে যায় এবং একের পর এক ঘুষি ও চড় মারতে থাকে। সে শুধু এখানেই থামেনি, শিশুটির আঙুলের ফাঁকে পেন্সিল চেপে ধরে অত্যাচার চালায়। এমনকি শিশুটি যখন পড়ে যায়, তখন সে তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। শিশুটি উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে হাসান আবারও তাকে আঘাত করে।
শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের ধারা ৭৫ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১১৫-এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে এবং অনেকেই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।