দু'দিন আগেই সীতারাম ইয়েচুরির সাফ কথা ছিল, “আমাদের প্রথম লক্ষ্য বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করা। তাই ত্রিপুরায় বিজেপিকে হারাতে যা যা দরকার তা আমরা করব।”
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় গলদ! আচমকা গাড়ির সামনে যুবক, দেখুন ভিডিও
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, 'বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট হতে হবে।' মানিক সরকারও একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'বামফ্রন্টের মধ্যে জোট রয়েছে। বাকি কোনও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি যদি জোট করতে চায় তাহলে আলোচনা হতে পারে।'
advertisement
কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, সভাপতি বীরজিৎ সিনহাও সিপিএমের পক্ষে জোটের সাওয়াল করে চলেছেন। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের স্ক্রুটিনি কমিটির চেয়ারম্যান দীপা দাশমুন্সীও বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তবে দুই শিবিরের আসন সমঝোতা এখনও হয়নি।
অন্যদিকে বাম ও কংগ্রেস আলাদা আলাদা করে কথা বলছে তিপ্রামোথার সঙ্গেও। তারা চাইছে তাদের এই জোটে শামিল হন মহারাজা প্রদ্যোৎ কিশোর মানিক্যর দল। যদিও সেদিক থেকে এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার ফলাফল নিয়ে শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবিতে শোরগোল
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটেও বাম- কংগ্রেস জোট হয়েছিল। যদিও সেই জোট কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে৷ দুই রাজনৈতিক দল শূন্য পায়। তাই এবার জোট নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেই এগোচ্ছে দুই দল। বিশেষ করে ২০২৪ সালের আগে উত্তর পূর্ব ভারতের এই ছোট রাজ্যের ভোটে নজর রয়েছে সবার।
অজয় কুমার জানিয়েছেন, 'বিজেপিকে রুখতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের একসঙ্গে লড়াই জরুরি। আমরা সবাইকেই তাই একসঙ্গে পথ চলার অনুরোধ জানাবো৷' অন্যদিকে বামেদের সূত্রে খবর, নির্বাচনের প্রচার ও আসন নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে।